কাঁসার থালায় ফুলকো লুচির সঙ্গে প্রমাণ মাপের বেগুন ভাজা। সঙ্গে থাকছে কাঁসার বাটিতে নারকেল কুচি দিয়ে ঘন ছোলার ডাল, কড়াইশুঁটি দিয়ে আলু-পনিরের তরকারি, আমের চাটনি, সঙ্গে সিমুইয়ের পায়েস আর দুধ সাদা রসগোল্লা। ধুতি পাঞ্জাবি পরা পরিবেশকরা খাওয়া শেষে এগিয়ে দেবেন ডাবরে সাজানো সুগন্ধী পান। মহাষ্টমীর দুপুরে কৃষ্ণনগরের একটি রেস্তোরাঁয় স্পেশ্যাল নিরামিশ থালির দাম পড়ছে মাত্র ১১৫ টাকা।
গত বছর এই থালিরই দাম পড়েছিল ১২৫ টাকা। তা হলে এ বার কম কেন? রেস্তোরাঁ মালিক জানাচ্ছেন, জিএসটির জন্য তাঁদের সব আইটেমেরই দাম কমেছে। গত কয়েক বছরের হিসেব বলছে, পুজোয় যে শুধু ধনীরাই রেস্তোরাঁতে খেতে আসেন এমন নয়। পুজোর ক’দিন সব শ্রেণির মানুষই রেস্তোরাঁকে বেছে নেন। তাতে জায়গার ভেদাভেদ নেই। সে নবদ্বীপ বা বহরমপুর— সর্বত্রই রেস্তোরাঁ হোটেলে পুজো স্পেশাল মেনু।
কৃষ্ণনগরের একটি রোস্তোরাঁতে এ বার পুজোয় ২৩ রকম পদের বুফেতে তারা আপ্যায়িত করতে চায় অতিথিদের। বাঙালি, তন্দুর, দক্ষিণ ভারতীয়, চাইনিজ দিয়ে মোট তেইশ রকম পদের জন্য দাম পড়ছে ৩৭৫ টাকা। পাঁচ থেকে দশ বছর বয়সীদের এখানে মিলবে ঠাকুরবাড়ির স্পেশ্যাল ডাল, ভাজা, একটি নিরমিষ ও একটি মাছের পদ। এর সঙ্গে চেখে দেখতে পারেন উত্তর এবং দক্ষিণ ভারতীয় নিরামিষ আমিষ হরেকরকম পদ। নবদ্বীপে এক রেস্তোরাঁয় পোলাও বিরিয়ানির পাশাপাশি স্যুপ-নুডলস -এর আয়োজন থাকছে। সঙ্গে হরেক রকমের বার্গার, পিৎজার সমাবেশ। দামও সাধ্যের মধ্যে।
বহরমপুরে খাগড়া, নতুনবাজার, কাদাই, টেক্সটাইল কলেজ মোড় থেকে ক্যান্টনমেন্ট রাস্তা ছাড়িয়ে লালদিঘি, গোরাবাজার— সেজেছে হোটেল রেস্তোরাঁ। বহরমপুরের মোহনের মোড়ের একটি রেস্তোরাঁয় স্পেশাল বিরিয়ানির সঙ্গে চিকেন হায়দরাবাদি। থাকছে ড্রাগন চিকেন। চিকেনকে স্লাইস করে কেটে সেজোয়ান সসে টস করে তার উপরে তিল ছিটিয়ে পরিবেশন করা হবে। ইন্দ্রপ্রস্থের মোড়ের রেস্তোরাঁ মালিক শৈবাল রায় জানান, নবাবি বিরিয়ানির পাশাপাশি থাকছে শাহি পোলাও। তার সঙ্গে মুর্গ-মুসল্লম্, নবাবি চিকেন, দমপোক্ত মাটন থাকছে। থাকছে বিশেষ ভাবে তৈরি গুমা ফ্রায়েড চিকেন। একটি রেস্তোরাঁ স্বাদে বৈচিত্র আনতে দুর্গা পুজোয় বানাচ্ছে হরিয়ালি বিরিয়ানি। সেই বিরিয়ানিতে ধনে পাতা ও পুদিনা পাতার স্বাদ থাকবে।