—প্রতীকী চিত্র।
সারা জীবন ধরেই চোখে ওষুধ লাগাতে হয়। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই জেলার প্রান্তিক স্তরের লোকজন কয়েক মাস পরে আর কলকাতায় আসতে পারেন না। আবার ওষুধের দামও অনেক বেশি হওয়ায় তা কেনার সামর্থ্য থাকে না আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া রোগীদের। ফলে একটা সময়ে গ্লকোমা রোগীদের জীবনে নামে আঁধার।
সেই জায়গায় দাঁড়িয়েই এক গ্লকোমা আক্রান্তের চোখে স্টেন্ট বসানোর পদক্ষেপ করল রিজিয়োনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজি (আরআইও)। শুক্রবার বছর পঁয়তাল্লিশের ওই ব্যক্তির চোখে স্টেন্ট বসানো হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, গ্লকোমায় চোখে জলের চাপ অত্যাধিক বেড়ে যায়। তাতে যে স্নায়ুর মাধ্যমে মানুষ দেখতে পান, সেটিতে রক্ত চলাচল কমে গিয়ে শুকিয়ে যেতে শুরু করে। এর জেরে এক সময়ে অন্ধত্ব চলে আসে।
এমনটা যাতে না হয়, সে জন্য নিয়মিত ওষুধ ব্যবহার করতে হয়। যার খরচ মাসে অন্তত দেড় হাজার টাকা। আরআইও-র গ্লকোমা বিষয়ক চিকিৎসক তানিয়া রায় ভদ্র জানাচ্ছেন, স্টেন্ট বসানো হলে আর ওই ওষুধ ব্যবহার করতে হবে না রোগীকে।
আরআইও-এর অধিকর্তা অসীম ঘোষ বলেন, ‘‘একটি সংস্থার থেকে নমুনা স্টেন্ট পেয়ে সেটি বসানো হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে এমন পদক্ষেপ এই প্রথম। গ্লকোমা আক্রান্ত প্রান্তিক স্তরের রোগীদের অন্ধত্ব আটকাতে এটি খুবই উপযোগী। সরকারের তরফে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে এটির ব্যবস্থা করলে অনেক মানুষের উপকার হবে।’’