চার বছরে এগরায় চালু এসএনসিইউ

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। এগরা মহকুমা হাসপাতালে অসুস্থ সদ্যোজাতদের জন্য এসএনসিইউ চালু হতে সময় লাগল চার বছর। ২০১১ সালে হাসপাতালে এসএনসিইউ তৈরির কাজ শুরু হয়। সোমবার এসএনসিইউ-এর উদ্বোধন করেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী। উপস্থিত ছিলেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল, এগরা মহকুমার ভারপ্রাপ্ত মহকুমাশাসক চিত্রদীপ সেন, এগরা পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর বেরা, হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার হিমাংশু শেখর মাইতি প্রমুখ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৫ ০০:৫৪
Share:

এসএনসিইউ উদ্বোধন করছেন সাংসদ শিশির অধিকারী।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। এগরা মহকুমা হাসপাতালে অসুস্থ সদ্যোজাতদের জন্য এসএনসিইউ চালু হতে সময় লাগল চার বছর। ২০১১ সালে হাসপাতালে এসএনসিইউ তৈরির কাজ শুরু হয়। সোমবার এসএনসিইউ-এর উদ্বোধন করেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী। উপস্থিত ছিলেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল, এগরা মহকুমার ভারপ্রাপ্ত মহকুমাশাসক চিত্রদীপ সেন, এগরা পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর বেরা, হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার হিমাংশু শেখর মাইতি প্রমুখ।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ হয়ে যায়। তবে প্রশিক্ষিত চিকিৎসকের অভাবে ইউনিটটি চালু করা যায়নি। নতুন চিকিৎসক আসায় ইউনিটটি চালু করা গেল। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘নতুন এই শিশু বিভাগে মোট ২০টি শয্যা থাকবে। থাকবেন মোট চার জন প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ও ১২ জন প্রশিক্ষিত নার্স।’’ তাঁর আশা, ‘‘এসএনসিইউ চালু হওয়ায় এ বার থেকে সদ্যোজাত শিশু রেফার করার সমস্যা অনেকটাই মিটবে।’’


এগরা মহকুমা হাসপাতালে এসএনসিইউ।

Advertisement

যদিও বাস্তবে সমস্যা কতটা মিটবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। নতুন এই বিভাগের চার জন চিকিৎসকের মধ্যে ইতিমধ্যে এক জন উচ্চশিক্ষার জন্য চলে গিয়েছেন। অন্য এক জন চিকিৎসক পরে কাজে যোগ দেবেন। অর্থাৎ এখন মাত্র দু’জন চিকিৎসক নিয়েই চালাতে হবে এই বিভাগ। এগরা ছাড়া পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এক মাত্র তমলুক জেলা হাসপাতাসে এসএনসিইউ চালু রয়েছে। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার হিমাংশুশেখর মাইতি বলেন, ‘‘নতুন বিভাগটি চালু হওয়ায় এলাকায় শিশু মৃত্যুর হার কমানো যাবে
বলেই আশা।’’

ছবি: কৌশিক মিশ্র।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement