স্মার্টফোনের দৌলতে এখন অনেক যন্ত্রই আর কাজে লাগে না। হিসেব নিকেশ, বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা পরিমাপক থার্মোমিটার থেকে ঘড়ি, এমন বহু যন্ত্রেরই ব্যবহার প্রায় ভুলতে বসেছি আমরা। কিন্তু জানেন কি এসবের বাইরেও এমন অনেক দৈনন্দিন কাজ রয়েছে, যেগুলোও অনায়াসের সেরে ফেলা যায় স্মার্টফোনে?
ধরুন, বাড়িটাকে নতুন করে সাজাতে চান। তার জন্য আসবাবপত্রের কোনটা কতটা জায়গা নেবে মেপে নেওয়া জরুরি। কিন্তু হাতের কাজে কোনও মাপার ফিতে নেই। উপায়? স্মার্টফোন! দূরত্ব মাপার অ্যাপ ডাউনলোড করে নিন। অ্যাপের নির্দেশ নেমে সেরে ফেলুন মাপজোক।
অনেক চেষ্টা করেও টেলিভিশন চালু হচ্ছে না। তাহলে রিমোটটাই বিগড়েছে নাকি ব্যাটারিটা, খুব সহজে সেটাও জেনে ফেলা যায় স্মার্টফোনের সাহায্যে। কী ভাবে?
স্মার্টফোনের ক্যামেরা চালু করুন। এবার রিমোট কন্ট্রোলের মুখটা ফোনের ক্যামেরার দিকে তাক করে সুইচ টিপুন। ফোন ক্যামেরায় যদি রিমোট কন্ট্রোলের লাল আলো জ্বলতে দেখা যায়, তাহলে জানবেন যন্ত্রের কোনও গোলযোগ নেই। সে ক্ষেত্রে ব্যাটারিটা বদলে ফেলুন।
রান্না করার সময় বা ঘরের কাজ করার সময় হাত নোংরা হয়ে যায়। এই অবস্থায় জরুরি কোনও ফোন এলে কী করবেন? হাত না দিয়েই কল রিসিভ করে ফেলুন। ঘরোয়া কাজে ব্যাঘাত ঘটবে না। এর জন্য প্লে স্টোরে খুঁজলেই এমন প্রচুর অ্যাপ পেয়ে যাবেন।
গাড়ি চালানোর সময় জিপিএস সেটিং দেখতে বারাবার মোবাইল স্ক্রিনে চোখ রাখেন। তা এড়াতে চান? তা হলে স্মার্টফোনের সাহায্যে এ ভাবে গাড়ির সামনের কাচকে বানিয়ে ফেলুন জিপিএস স্ক্রিন। ফোনের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে জিপিএস সেটিংস চালু করে সামনের কাচের সামনে ড্যাশবোর্ডে রেখে দিন।
মনে রাখবেন উজ্জ্বলতা যেন যথেষ্ট থাকে, যাতে সামনের কাচে তার প্রতিফলন খুব পরিষ্কার দেখা যায়। এ বার গাড়ি চালাতে শুরু করুন। মনে হবে, সামনের কাচটাই জিপিএস স্ক্রিন।
জানেন কি ফোন সুইচ অফ হয়ে গেলেও আপনি ফোন থেকে মেসেজ পাঠাতে পারেন বা ফোনের মেসেজ পড়তে পারেন? এর জন্য দরকার একটি অ্যাপের। গুগল প্লে স্টোরে এই অ্যাপ পেয়ে যাবেন। অ্যাপ ফোনে ইনস্টল করে আপনার ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের সঙ্গে লিঙ্ক করতে হবে শুধু।