কলকাতার বেকারি তৈরি করছে চকো লাভা কেক। ছবি: ফ্রিপিক।
ধরুন চকোলেট কেক খাবেন বলে চামচ দিয়ে এক টুকরো কেটেছেন। আর ভিতর থেকে বেরিয়ে আসছে গরম গলানো চকোলেট। মুখে দেওয়া মাত্রই মিলিয়ে যাচ্ছে চকোলেট মাখানো নরম কেক। সেই কেকই হল আসলে চকো লাভা কেক। এক দিকে কেক, অন্য দিকে গলানো চকোলেট— দুইয়ে মিলে গেলে আর ডায়েটের কথা মাথাতেও থাকবে না। আপনি যদি চকোলেট-প্রেমী হন, তা হলে চকো লাভা কেক চেখে দেখতে পারেন। এমন চকোলেট কেক তৈরি করছে কলকাতার সোবিস্কো ফ্রেশ বেকারি।
মিষ্টি খাবারের প্রতি বাঙালির অনুরাগের কথা নতুন করে বলার নয়। বেক আর কেক— বাঙালির রসনাবিলাসে এই দুইয়ের নাম থাকবেই। বাড়িতে যদি খুদে সদস্য থাকে, তা হলে তো কথাই নেই। তাদের মনের মতো কেক এনে দিতেই হবে। বাড়িতে নিত্যনতুন কেক বানানো সম্ভব হয় না অনেক সময়েই। দোকান থেকে একই রকম কেক খেতেও অনীহা শিশুর। তাই তাদের মনের মতো কেক এবং সঙ্গে চকোলেটের যুগলবন্দি চাইলে, চকো লাভা কেকই সেরা। একে ‘মল্টেন লাভা কেক’ও বলা হয়। এমন ভাবে এটি বেক করা হয়, যাতে বাইরের অংশটি জমাট বাঁধে এবং ভিতরে তরল অবস্থায় থেকে যায় চকোলেট। কেক ভাঙলেই তা গলিত লাভার মতো বেরিয়ে আসে।
চকো লাভা কেক কিন্তু নতুন নয়। মনে করা হয়, ১৯৮০ সালে দুই ফরাসি শেফ প্রথম চকো লাভা কেক তৈরি করেন। যদিও তাঁদের দু’জনের রেসিপি আলাদা ছিল। প্রায় বছর দুয়েক সময় লাগে এমন চকোলেট সমৃদ্ধ কেক তৈরি করতে। আমেরিকায় খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে সেই কেক। পরে ১৯৮৭ সাল থেকে নিউ ইয়র্কের বেকারি ও রেস্তরাঁগুলিতেও চকো লাভা কেকের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে।
বিশ্ব চকোলেট দিবস উপলক্ষে কলকাতার সোবিস্কো ফ্রেশ বেকারি তাদের আউটলেটে চকো লাভা কেক নিয়ে এসেছে। একটি কেকের দাম ৯০ টাকা। কেকের সঙ্গে আইসক্রিমের স্বাদও নিতে পারবেন। চকো লাভা কেকের সঙ্গে ভ্যানিলা আইসক্রিম একসঙ্গে নিলে, তার দাম পড়বে ১৪৯ টাকা।