চুল কাটা শেষ। চুলের পরিপাটি যত্নও সারা। স্পা থেকে হেয়ার হাইলাইট, সবই তো হল! এ বার যদি চুল বাঁধাটাই ভাল না হল, তবে আর সাজ হল কই? পুজোর ক’দিন নানা সাজে বদলে বদলে ফেলুন চুল বাঁধার কেতা।
চুলের কেতা বদলালে চেহারাতেও আসবে নতুন লুক। নিত্য নানা পোশাকের সঙ্গে চুল বাঁধুন নানা রকম কায়দায়। প্রায় সব ধরনের পোশাকের সঙ্গে মানানসই হবে এমন চুল বাঁধার হদিশ রইল আপনার জন্য।
ফ্যাশনেবল সাজের সঙ্গে এমন স্টাইলিশ হেয়ারস্টাইল দিয়েই বাজিমাত করুন এ বারের পুজো। পুজোর সাজে চুলের বহরও মন জয় করুক প্রিয়জনের। সাজগোজের আনন্দ ভরপুর উপভোগ করতে প্রস্তুত থাকুন আপনিও।
আরও পড়ুন: স্যালোঁয় না গিয়ে এই উপায়ে কার্লি করে ফেলুন চুল!
মুকুটমণি
এমন কেতা ভাল লাগে ফিউশন সাজ বা চুড়িদারের সঙ্গে। তবে ক্যারি করতে পারলে ডিজাইনার কুর্তির সঙ্গেও এই হেয়ারস্টাইল খুব মানানসই। দেখতে যতটা জটিল, বাঁধা কিন্তু ততটাই সহজ। হালকা জেল বা মুজ় দিয়ে, ঠিক সামনের অংশে একটু ভলিউম দিন, উপরে তুলে ক্লিপ করুন। দু’ পাশের চুল জেল দিয়ে চেপে দিন। তার পর চুল সেকশন করে এক দিকে পেঁচিয়ে নিয়ে ক্লিপ করুন। বাদবাকি চুল পিছনে নিয়ে পনি করুন। এ বার তাকে ব্যাককুম্ব করে ফুলিয়ে দিন। চুল ভলিউম পাবে। চুড়িদার তো বটেই, ফিউশন ড্রেস কিংবা স্টাইলিশ কুর্তির সঙ্গেও স্বচ্ছন্দে এ ভাবে চুল বাঁধতে পারেন।
কমললতা
ওয়েস্টার্নের জন্য কোন দিন বেছেছেন? সে দিনের পোশাকের জন্য সরিয়ে রাখুন এই স্টাইলিং। চুল পড়ার সমস্যা তো এখন কমবেশি সকলেরই আছে। এই ভাবে চুল বাঁধার বিশেষত্ব হল, আপনার চুলের ঘনত্ব যে কমছে, তা বোঝা যাবে না। প্রথমে চুলে হালকা করে মুজ় লাগিয়ে নিন। তার পর চুল ভাগ ভাগ করে নিন। সামনের একটা অংশ ধরে দু’আঙুলে চুল জড়িয়ে নিন (ঠিক যে ভাবে রোল খোঁপা করা হয়)। এ ভাবে দুটি ভাগের চুল পেঁচিয়ে নেওয়ার পর ক্লিপ দিয়ে আটকে রাখুন। এ বার সামনের চুল মিডল পার্ট করে নিন। সামনের অংশের চুল দুটো সেকশন করুন। এক-একটি সেকশনে খেজুর বেণি (একটি অংশ ধরে অন্য অংশ দিয়ে জড়িয়ে নিন) বাঁধুন। চাইলে অবশ্য একটি বেণিও বাঁধতে পারেন। বেণির নীচের অংশ ফুলের মতো ফুলিয়ে একটি খোঁপা করুন, যাতে ক্লিপগুলো ঢাকা পড়ে যায়।
পুষ্পবেণি
এই হেয়ারস্টাইলকে আপনি মেসি ব্রেডও বলতে পারেন। দীপিকা পাড়ুকোন থেকে শুরু করে কৃতী শ্যানন, অনেক নায়িকাকেই হয়তো পর্দায় দেখেছেন এ হেন বেণি বাঁধতে। এ বার আপনার পালা। ক্যাজুয়াল ওয়েস্টার্ন, ফিউশন থেকে শুরু করে শাড়ি, চুড়িদার যে কোনও পোশাকের সঙ্গেই মানিয়ে যায় এই পুষ্পবেণি। তবে এটি করতে গেলে চুলের দৈর্ঘ্য বেশি হতে হবে। যাই হোক, মুজ় বা সেরাম দিয়ে চুল সাইড পার্টিং করে নিন। বেণি করুন, তবে খুব টাইট করে নয়। এ বার দু’হাত দিয়ে বেণি ছাড়িয়ে-ছাড়িয়ে দিন, যাতে তা চওড়া ও আনইভন লাগে। কপালের উপরের চুল আড়াআড়ি ভাবে কার্ভ করুন। দেখতে ভাল লাগবে।
আরও পড়ুন: খালি গায়েই রূপ খুলবে জামদানির সাজে
কবরীমালা
সাইড পার্ট করে চুলে জেল লাগিয়ে নিন। তার পর চুল মাথার উপরে তুলে দশ মিনিট আটকে রাখুন। পিছনের চুল সাইডে এনে রাবারব্যান্ড লাগিয়ে পনি করুন। পনি উলটো দিক থেকে ব্রাশ (ব্যাককুম্বিং) করুন। ফুলে থাকা চুলে ঘাড়ের পাশে খোঁপা করে নিন। এ বার যে চুল ক্লিপ দিয়ে আটকানো ছিল, তা আড়াআড়ি ভাবে আঁচড়ে খোপার উপর এনে ক্লিপ করুন। শাড়ির সঙ্গে এ হেন খোঁপায় আপনার গ্ল্যামকোশেন্ট আরও বাড়বে।
নানা পোশাকের সঙ্গে মানানসই এমন চুলের বাহারে এ বারের মণ্ডপের মধ্যমণি হয়ে উঠুন আপনি। ফ্যাশন আর স্টাইল হাত ধরাধরি করে চলুক আপনার সজ্জায়।