child

বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছনো সন্তানকে এ সবও বলেন নাকি? তা হলে সাবধান

সন্তান বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছলে পরিবারে অভিভাবকের সঙ্গে সন্তানের মতের অমিল শুরু হয়। এই সময় এড়িয়ে চলুন বিশেষ কিছু কথা— যা শুনলে সন্তানের মনে হীনম্মন্যতা আসে, দূরত্ব বাড়ে। দেখে নিন সে সব কী কী।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৮ ১২:২৯
Share:
০১ ০৭

সন্তান বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছলে তার পরিবর্তিত স্বভাবের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে অনেক সময়ই অসুবিধা হয় অভিভাবকদের। কোনও কোনও পরিবারে অভিভাবকের সঙ্গে সন্তানের মতের অমিল শুরু হয়। দ্বন্দ্ব দূরে রাখতে এই সময় এড়িয়ে চলুন বিশেষ কিছু কথা— যা শুনলে সন্তানের মনে হীনম্মন্যতা আসে, দূরত্ব বাড়ে। দেখে নিন সে সব কী কী। ছবি: শাটারস্টক।

০২ ০৭

বন্ধুদের দেখে শেখ বা পাশের বাড়ির অমুককে দেখ! এমন কিছু তুলনা কি রাগের মাথায় করে বসেন সন্তানের সামনে? এমনিতে এই সব তুলনা কোনও সময়ই ভাল নয়। আর সে বয়ঃসন্ধিতে দাঁড়িয়ে থাকলে তা আরও ক্ষতিকারক। এ সময় সন্তানের মনেরও কিছু পরিবর্তন আসে। নিকটজনের থেকে এমন তুলনা তাকে হতাশাগ্রস্ত করে খিটখিটে করে তোলে। ছবি: শাটারস্টক।

Advertisement
০৩ ০৭

একাধিক সন্তান থাকলে এই তুলনা অনেক সময় বাড়ির মধ্যেও চলে। এক জন যদি অপরের চেয়ে কোনও কিছুতে এগিয়ে থাকে, তখন অনেক অভিভাবক দুই সন্তানের মধ্যেই তুলনা টানেন। এও খুব ক্ষতিকর। বিশেষত, সন্তানদের মধ্যে প্রতিযোগিতার বীজ ঢুকে যায় এতে। অতএব সাবধান! ছবি: শাটারস্টক।

০৪ ০৭

সন্তান নানা সুযোগ পাওয়ার পরেও ব্যর্থ হলে, রাগে-হতাশায় ‘আমরা যদি তোর মতো সুযোগ পেতাম, তবে…’ বলে কটাক্ষ করেন অভিভাবকরা। পারলে আজই এই অভ্যাস তাড়ান। এতে আপনার প্রতি সম্মান তো কমেই, সঙ্গে মা-বাবাও পাশে নেই ভেবে ব্যর্থতা ওকে আরও ঘিরে ধরে। বরং ওর ব্যর্থতার কারণ বুঝে ওকে সফল হয়ে উঠতে সাহায্য করুন। ছবি: শাটারস্টক।

০৫ ০৭

সাংসারিক নানা বিরক্তির মধ্যে খুব সহজ কাজও সন্তান ঠিক মতো সামলাতে না পারলে রাগ হয়ই। তবু, সন্তানের স্বার্থেই এই রাগ দমিয়ে কথা বলুন। হতেই পারে কোনও বিশেষ কারণে ও এই কাজ করতে সক্ষম হয়নি। দরকারে কী ভাবে কাজটা করলে সফল হত সে কৌশল ওকে শেখান। কিন্তু ‘কোন কাজটা পারিস’ জাতীয় কথা বলে ওকে হেয় করবেন না। ছবি: শাটারস্টক।

০৬ ০৭

সন্তানের খুব কাছের বন্ধুকে নিয়ে খারাপ কোনও মন্তব্য করবেন না। যদি একান্তই বোঝেন, এই সঙ্গ ওর ক্ষতি করছে, তা হলে জোরাজুরি না করে বুদ্ধি খাটিয়ে, দরকারে ওর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করে সেই সঙ্গ থেকে ওকে দূরে রাখুন। আলোচনার সময় ওর সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশুন। ছবি: শাটারস্টক।

০৭ ০৭

বাড়িতে কোনও আলোচনা হলে, সে মত প্রকাশ করতে এলেই কি রে রে করে ওঠেন? ‘কিছুই বুঝিস না’, বা ‘তুই বুঝবি না’ বলে ধমক দেন? সর্বদা এমন করবেন না। এতে পরিবারে তার গুরুত্ব নেই ভেবে সে অভিমানী হয়ে ওঠে। বরং কিছু বিষয়ে ওর মতটাও গ্রহণ করুন। ছোট থেকেই মতপ্রকাশে স্বাধীনতা পেলে ও মানুষ হিসাবেও সুন্দর হবে। ছবি: শাটারস্টক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement