এই মুহূর্তে শিক্ষার্থীরা যা যা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে, তার জন্য় তাদের আশঙ্কা করা বা উদ্বেগ প্রকাশ করা স্বাভাবিক।
Mental Health

কী ভাবে কমবে মানসিক চাপ? আলোচনায় মনোবিদ জয় রামের সঙ্গে সাউথ পয়েন্টের শিক্ষক ও ছাত্ররা

শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২১ ১৪:১৯
Share:

আলোচনায় মনোবিদ জয় রামের সঙ্গে সাউথ পয়েন্টের শিক্ষক ও ছাত্ররা

বাতিল হয়ে গিয়েছে বোর্ড পরীক্ষা। এক বছরের উপর সময় ধরে সামনে থেকে কোনও বন্ধু বা শিক্ষকের সঙ্গে দেখা হয়নি তাদের। কেরিয়ার গঠনের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছে তারা। ওরা আর কেউ নয়, ২০২০-২০২১ ব্যাচের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

করোনা পরিস্থিতির কারণে সমস্ত শিক্ষার্থীই অত্যন্ত চিন্তায় রয়েছে। তাঁদের মানসিক চাপ কমাতে সাউথ পয়েন্টের প্রাক্তণ ছাত্র সমিতি (ASPEXS) এবং মেন্টাল হেল্থ ফাউন্ডেশন, কলকাতার উদ্যোগে ৯ জুনএকটি ওয়েবিনারের আয়োজন করেছিলাম আমরা। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাউথ পয়েন্টের আরও এক প্রাক্তণী তথা অ্যাপোলো গ্লেনেগলসের মনোবিদ জয় আর রাম। তিনি মেন্টাল হেলথ ফাউন্ডেশন, কলকাতার জয়েন্ট ডিরেক্টরও বটে! অনুষ্ঠান সঞ্চালনাডর দায়িত্বে ছিলেন স্কুলের প্রিন্সিপাল রূপা সান্যাল ভট্টাচার্য।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই ভট্টাচার্য বলেন, "এটি শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সেশন। অতিমারির মধ্যে কী ভাবে মানসিকভাবে সুস্থ থাকা যায়, কী ভাবে চাপ সামলানো যায়, তা নিয়ে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য দেবেন জয় রাম। এই কঠিন পরিস্থিতিতে এই ধরনের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।"

অন্যদিকে সাউথ পয়েন্ট এডুকেশন সোশ্যাইটির ট্রাস্টি এবং ASPEXS-এর সভাপতি জানান, "আমরা সত্যিই খুশি যে আমাদের নিজস্ব প্রাক্তনী আজ ভবিষ্যতের কান্ডারিদের সম্বোধন করছেন। প্রচুর অনিশ্চয়তার সঙ্গে লড়াই করছে শিক্ষার্থীরা। জয় রামের পরামর্শগুলি শিক্ষার্থীদেরকে আগামী দিনগুলিতে সমৃদ্ধ করবে।"

মানসিক চাপ দূর করতে যা যা পরামর্শ দিয়েছেন -

এই মুহূর্তে শিক্ষার্থীরা যা যা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে, তার জন্য় তাদের আশঙ্কা করা বা উদ্বেগ প্রকাশ করা স্বাভাবিক। এর বিরুদ্ধে লড়তে গেলে প্রথমেই যে বিষয়টি চিহ্নিত করা উচিৎ তা হল কীসের বিরুদ্ধে লড়ছি আমরা।

- প্রথমটি কোভিড ভাইরাস। এবং আমরা সকলেই জানি কী ভাবে এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা সম্ভব। যেমন মাস্ক পড়া, সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা, প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে না বের হওয়া ইত্যাদি, জমায়েত এড়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

- দ্বিতীয়টি হল , 'তথ্য ভাইরাস'। আমরা এই মুহূর্তে প্রচুর পরিমাণে ভুল তথ্য পাচ্ছি। এর বিরুদ্ধে আমাদের এমনভাবে লড়া উচিৎ যাতে ভুল তথ্য আমাদের উদ্বেগের কারণ না হয়ে দাঁড়ায়।

- তৃতীয়টি হল 'চিন্তার ভাইরাস' বা 'আতঙ্কের ভাইরাস'। আমাদের জীবনে আতঙ্ক, উদ্বেগ বা চিন্তার কারণগুলি কী কী তা খুঁজে বের করা অত্যন্ত প্রয়োজন রয়েছে। এর বিরুদ্ধে লড়তে গেলে প্রথমেই এই উদ্বেগের কারণগুলির একটি তালিকা তৈরি করার প্রয়োজন রয়েছে। এটি মোকাবিলা করতে গেলে ছোট ছোট পদক্ষেপ করুন। যদি চিন্তার কারণ দশটি হয়, তবে লক্ষ্য হবে এক সময়ে একের বেশি চিন্তা নিয়ে না ভাবা। ফলে একটি সময়ের পরে, সব কটি আতঙ্ক কাটিয়ে ফেলা সম্ভব।

এই তালিকার মধ্যে এমন অনেকগুলি চিন্তার কারণ থাকতে পারে যা পরিবার, বন্ধু বা শিক্ষককে বলা সম্ভব। আবার অনেকগুলি চিন্তার কারণ থাকে যা একা সামাধান করা যায় না। সেক্ষেত্রে ওই চিন্তাগুলি নিয়ে না ভাবাই বাঞ্ছনীয়।

উদ্বেগের কোনও কারণ থাকলে তা সব সময়ে কাছের, বিশ্বাসের লোকের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া উচিৎ। সেটা বন্ধু হতে পারে, পরিবারের কোনও সদস্য হতে পারে বা বাবা-মা হতে পারে।

সেই সঙ্গে প্রতিনিয়ত ফ্রেশ থাকা, শরীর চর্চা করা এবং গাছপালা বা পশু-পাখি পোষা উচিৎ। এতে মন ভাল থাকে।

সেশনটি দেখুন

সম্পূর্ণ ওয়েবিনারটি দেখুন

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন