যথাযথ যত্নের অভাবে নষ্ট হয় লেপ-কম্বল। ছবি: আইস্টক।
শীতকাল কড়া নাড়া মানেই লেপ-কম্বল-কাঁথা-সোয়েটারে দিনযাপন। যদিও এখনও কনকনে শীত পড়েনি ঠিকই, তবে কম্বল-কাঁথা-সোয়েটার বার করে ফেলেছেন প্রায় সকলেই। নিম্নচাপের হাত ধরে রাজ্যে শীত আরও ঝাঁকিয়ে পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। সুতরাং প্রায় এক বছর আগে ব্যবহারের পর তুলে রাখা লেপ-বালাপোশ বার করার দিনও চলে এল।
গতবার শীতের পর ফের এত দিন পর লেপ-কম্বল-কাঁথা শুধু বার করলেই চলে না, তার সঠিক যত্ন ও পরিষ্কারের নিয়মও জানতে হয়। অনেক সময় দেখা যায়, এক বছর আগে কেচে তুলে রাখা লেপ-কম্বল দীর্ঘ অব্যবহারের ফলে গন্ধ বা ধুলোর শিকার হয়েছে। সে সব সরিয়ে আবার লেপ-কম্বলকে শীতের জন্য তৈরি করা বা মাঝে কী উপায়ে যত্ন নেবেন, তা জেনে নেওয়া খুবই জরুরি।
শীতের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই জিনিসগুলি ঠিক মতো যত্নের অভাবে দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়, আবার কখনও পচন ধরে পুরোন লেপ-কাঁথায়। তাই শীতে এদের যত্ন এই সহজ এই সব উপায়ে।
আরও পড়ুন: মাঝে মাঝেই রাত জাগেন? এ সব মানলে আর সমস্যা হবে না
শীতবস্ত্রের যত্নে ব্যবহার করুন বাজারচলতি নির্ধারিত বিশেষ ডিটারজেন্ট। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
কাঁথার যত্ন: কাঁথার ওয়াড় আলাদা করে নিন। তাকে আলাদা করে কাচুন। এমনিতে কাঁথা পরিষ্কার খুব শ্রমসাধ্য নয়। সারা বছর যে ডিটারজেন্ট ব্যবহার করেন তাতেই ডুবিয়ে রাখুন কিছু ক্ষণ। তার পর কেচে নিন।
লেপ-কম্বলের যত্ন: শিমুল তুলোর লেপে কাচাকুচি বা ড্রাই ওয়াশ চলে না। বরং বার করার পর তা রোদে দিন। কিছু ক্ষণ একটা পিঠ রোদ খাওয়ার পর দিক বদল করে দিন লেপের। তবে লেপের কভার আলাদা করে কেচে দিন। কম্বলের ক্ষেত্রেও একই ভাবে যত্ন নিন। তবে শিমূল তুলো দিয়ে তৈরি না হলে কম্বল আলাদা করে কাচতে পারেন। শ্যাম্পু মেশানো জলে কিছু ক্ষণ ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে নিন কম্বল। তবে কম্বলের ওজন বেশি হলে কিন্তু জলে ভেজালে তা আরও ভারী হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে লন্ড্রিতেও দিতে পারেন।
আরও পড়ুন: জনসন বেবি পাউডারে অ্যাসবেস্টস! রিপোর্টে বিতর্ক
সোয়েটার-মাফলার-জ্যাকেটের যত্ন: উলের তৈরি যে কোনও গরম কাপড় বাড়িতেই কেচে ফেলুন। একটানা তিন-চার দিন একই জিনিস ব্যবহার করবেন না। বিশেষ করে একটানা একই উলের জিনিস ব্যবহার করলে ত্বকে নানা অ্যালার্জি হয়। ফলের জিনিস ত্বকের পা অন্য পোশাকের সঙ্গে ঘষা খেয়ে ঔজ্জ্বল্য হারায় রোঁয়া উঠে যায়। তাই এদের প্রতি যত্নবান হোন। শীতবস্ত্র কাচার জন্য নানা বিশেষ ডিটারজেন্ট বাজারে পাওয়া যায়। সে সব ব্যবহার করুন। ফোমের জ্যাকেটও এ ভাবেই কেচে ফেলতে পারেন।
কাচার পর খুব বেশি কড়া রোদে দেবেন না উলের জামাকাপড়। বরং রোদের তেজ কম পৌঁছয় এমন জায়গাতেই সে সব মেলুন। এতে রং চটে না। তবে লেদার জ্যাকেটের ক্ষেত্রে বাড়িতে না কেচে পেশাদার কোনও লন্ড্রিতে দিন।