Advertisement
E-Paper

মাঝে মাঝেই রাত জাগেন? এ সব মানলে আর সমস্যা হবে না

রাত জাগতে হলে বরং কিছু বিধি-নিষেধ মানুন। সচেতন থাকুন কিছু বিষয়ে।

সুজাতা মুখোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৫:৩৯
রাত জাগার প্রভাব থেকে সুস্থ থাকতে মেনে চলুন কিছু নিয়ম।

রাত জাগার প্রভাব থেকে সুস্থ থাকতে মেনে চলুন কিছু নিয়ম।

কর্মব্যস্ত জীবনে কখনও কখনও কাজের জন্যও রাত জাগতে হয়। কাউউ আবার নাইট ডিউটি করতে হয় প্রায়ই। কখনও বা পরিস্থিতির কারণে রাত জাগতে বাধ্য হন অনেকেই। কেউ বা পারিবারিক কোনও অনুষ্ঠান বা আড্ডাতেও রাত জেগে থাকেন কখনও।

মাঝেমধ্যে এক-দু’ রাত জাগা তেমন একটা বিষয় নয়৷ তেমন কোনও ক্ষতি হয় না তাতে৷ পরে ঘুমিয়ে তা কিছুটা হলেও পুশিয়ে নেওয়া সম্ভব। না সম্ভব না হলে একটু–আধটু ঘুমঘুম ভাব থাকে, মেজাজ খারাপ থাকে, কাজের টুকটাক ক্ষতিও হয়, ব্যস এই পর্যন্তই৷ কিন্তু রাতের পর রাত জাগতে হলে ব্যাপারটা আর অত সহজ থাকে না৷ নানা দিক থেকে বিপদ এসে হাজির হয়৷ যেমন:

সারা দিন চোখে আঠার মতো লেগে থাকে ঘুম, শরীর খারাপ হয়, খারাপ হয় মন–মেজাজ, কাজের মান৷ লেটনাইটের পর আর ব্যায়াম করা হয় না প্রায় দিনই৷ তার উপর রাত জাগার অনুপান হিসেবে এটা–সেটা খেলে, ওজন বাড়তে শুরু করে৷ ক্রনিক অসুখ–বিসুখ থাকলে বা বয়স বেশি হলে রোগের প্রকোপ বাড়ে বা অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে ৷

আরও পড়ুন: চুল পাকা ঢাকতে আর রাসায়নিক ডাই নয়, জেনে নিন ঘরোয়া উপায়

রাত জাগার অভ্যাস থাকলে পাতে থাক সুষম আহার। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।

বেশি দিন ধরে রাত জাগতে জাগতে একসময় ঘুমের ছন্দে ব্যাপক পরিবর্তন আসে৷ নতুন করে তাকে রুটিনে ফিরিয়ে আনতে তখন মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয় বিস্তর৷ ‘কাজেই মাঝেমধ্যে কিছু দিনের জন্য রাত জাগতে হলে ক্ষতির হার কমাতে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলুন৷ যাঁদের শিফটিং ডিউটি, তাঁদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য৷’ জানালেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায়৷

রাত জাগতে হলে বরং কিছু বিধি-নিষেধ মানুন। সচেতন থাকুন কিছু বিষয়ে।

কী কী বিষয়ে খেয়াল রাখব

রাত জাগলে এমনিতেই একটু পেটের গোলমাল হতে পারে৷ সে বিপদ এড়াতে কম তেল–মশলায় রান্না করা ঘরোয়া খাবার খান, রাত জাগতে হলে সে দিন পেটে একটু খিদে রেখে খান৷ রাত জাগার সঙ্গী হিসাবে অনেকেই মদ ও টুকটাক ভাজাভুজিকে বেছে নেন। সাবধান। হ্যাং ওভার, অম্বল, বদহজম ইত্যাদির কবলে পড়ে পরের দিনের কাজকর্ম মাটি হতে পারে৷ শরীর খারাপ হতে পারে৷ বাড়তে পারে ওজন৷ তার হাত ধরে দেখা দিতে পারে ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ জাতীয় নানা অসুখ। রাত জেগে পড়া বা টার্গেট পূরণের চাপে কিংবা খেলা দেখার উৎসাহে রোজকার ওষুধ খেতে ভুলে গেলে সে সব রোগের প্রকোপ বাড়বে, বিষয়টা মাথায় রাখবেন৷ যে কারণে রাত জাগছেন, তা শেষ হয়ে যাওয়ামাত্র শুয়ে পড়ুন৷ তার আগে উত্তেজনা কাটাতে খোলা হাওয়ায় একটু হেঁটে নিতে পারেন৷

​​আরও পড়ুন: সহজেই ঠান্ডা লাগে? এ সব পানীয়তে ওষুধ ছাড়াই দূরে রাখুন শ্লেষ্মাজনিত অসুখকে

বেলা করে ওঠার অভ্যেস বা সুযোগ না থাকলে দুপুরে একটু ঘুমোন৷ স্কুল–কলেজ বা অফিসে ১০–১৫ মিনিট ঘুমিয়ে নেওয়ার (পাওয়ার ন্যাপ) সুযোগ আমাদের দেশে খুব একটা নেই৷ সে ক্ষেত্রে গাড়িতে যাতায়াতের পথে বা বাড়ি ফিরে পড়া বা খেলা দেখা শুরু করার আগে একটু ঘুমিয়ে নিন৷ প্রচুর চা–কফি ও সিগারেট খেয়ে ঘুম তাড়াতে হলে, তা শরীরে খুব ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তাই ওটা এড়িয়ে চলুন। মাসখানেক ধরে টানা রাত জাগলে অম্বল, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রকোপ এড়াতে ফাইবারসমৃদ্ধ হালকা সুষম খাবার খান৷ ঘুম কম হলে দুশ্চিন্তাপ্রবণ মানুষরা একটু খিটখিটে হয়ে পড়েন৷ ঘুম বাড়িয়ে সে সমস্যা কমাতে না পারলে কথাবার্তা কম বলুন, যাতে বদমেজাজের বহিঃপ্রকাশে সম্পর্ক ও কাজ নষ্ট না হয়৷ মৃগী রোগ থাকলে মাঝেমধ্যে একটু ঘুমিয়ে না নিলে আচমকা এক–আধটা অ্যাটাক হয়ে যেতে পারে৷ দিনের পর দিন সময় পার করে ঘুমোলে, ঘুমের ছন্দ বদলে যেতে পারে৷ ঘুমের সমস্যা হতে পারে৷ ভয় পাবেন না৷ ধীরে ধীরে রুটিনে ফিরে আসুন৷ হালকা খাবার খান৷ ব্যায়াম করুন৷ কিছু দিনেই ঝামেলা মিটে যাবে৷ তা না করে ঘুমের ওষুধ শুরু করে দিলে কিন্তু অনিদ্রা চেপে ধরার সম্ভাবনা প্রতি পদে৷ মিষ্টি খেয়ে কম ঘুমের ক্লান্তি কমাতে গেলে খানিক ক্ষণের মধ্যে তা দ্বিগুণ হয়ে ফিরে আসতে পারে৷ দিনের পর দিন এ রকম চললে ওজনও বেড়ে যেতে পারে৷ কাজেই টুকটাক খাওয়ার ইচ্ছে হলে অল্প করে শুকনো ফল, বাদাম বা এক–আধবার টাটকা ফলের রস খান৷ এতেও অবশ্য ক্যালোরি বেশি থাকে৷ তবে তা পুষ্টিকর ক্যালোরি৷ ক্লান্তি কমাতে ও পুষ্টি জোগাতে এদের ভূমিকা বিরাট৷

সুতরাং রাত জাগতে হলে মেনে চলুন এ সব নিয়ম। সঙ্গে ঘুমের খামতিটুকু পূরণ করে নেওয়ার জন্যও সচেষ্ট হোন।

ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন

Fitness Tips Health Tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy