লেবুর রসে সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে, যা খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। এ কথা বহুবার বহুজনের কাছে শুনেছেন। মাথায় খুশকি দেখা দিলে লেবুর রস ঘষেও দেখেছেন। তাতে সাময়িক সমাধান হলেও স্থায়ী ভাবে কোনও লাভ হয়নি। বরং মাথার ত্বকে লেবুর রস পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই জ্বালা, চুলকানির মতো অস্বস্তি এমন বেড়েছে যে, মাথায় বেশি ক্ষণ রাখতেই পারেননি। ধুয়ে ফেলতে হয়েছে দ্রুত।
তবে কি খুশকির সমস্যা মেটাতে লেবু কাজ করে না। অবশ্যই করে। তবে তার কিছু নিয়ম আছে। লেবুতে থাকা জোরালো অ্যাসিডিক উপাদানের জন্য লেবুর রস সরাসরি মাথার ত্বকে লাগানো উচিত নয়। তার উপর খুশকি হওয়ায় মাথার ত্বক সংবেদনশীল হয়ে থাকে। লেবুর রস সেখানে পড়তে না পড়তেই জ্বালা এবং অস্বস্তি শুরু হয়। রূপচর্চা শিল্পীরা তাই বলছেন লেবুর সঙ্গে অন্য উপাদান মিশিয়ে মাথার ত্বকে ব্যবহার করুন।
কী ভাবে লেবুর রস ব্যবহার করবেন?
১। লেবু ও মধুর মিশ্রণ:
৪ টেবিল চামচ মধুর সাথে ২ টেবিল চামচ লেবুর রস এবং সামান্য জল মেশান। এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
২। লেবু ও আমলকির রসের মিশ্রণ:
২ টেবিল চামচ লেবুর রসের সাথে ২ টেবিল চামচ আমলকির রস মিশিয়ে নিন। এটি মাথার ত্বকে আধ ঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন। এর পরে শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
৩। লেবু ও নারকেল তেলের মিশ্রণ:
১ চা-চামচ লেবুর রসের সাথে ২ চা চামচ সামান্য গরম করা নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। ৩০ মিনিটের মতো এই মিশ্রণ মাথায় মেখে রাখুন। এরপর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
সতর্ক থাকুন
লেবুর রস লাগানোর পর রোদে না বেরনোই ভাল। কারণ, এতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড মাথার ত্বককে সংবেদনশীল করে তুলতে পারে। তার পরে রোদে বেরোলে মাথার ত্বকে ক্ষতি হতে পারে।
লেবুর রস ব্যবহার করার সময় যদি মাথার ত্বকে অতিরিক্ত জ্বালা বা অস্বস্তি অনুভব করেন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং ব্যবহার বন্ধ করুন।
সপ্তাহে দু'বারের বেশি লেবুর রস ব্যবহার করা উচিত নয়।