এই ভীষণ গরমে আমরা অনেকেই এসি-র আরাম খুঁজি। যাঁদের বাড়িতে এসি রয়েছে তাঁরা বাড়ি ফেরা মাত্রই এসির ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগিয়ে আরাম পান। কিন্তু হাতে যখনই বিদ্যুতের বিলটি এসে পৌঁছয়, মাসভর ঠান্ডা আমেজ নিমেষে গায়েব!
তুমুল গরমেও পরের মাসে কিন্তু এসি চালাতে গিয়ে দু’বার ভাবে মধ্যবিত্ত। কিন্তু দিনে এসি না চালালেও রাতে ঘুমনোর জন্য তা না ব্যবহার করে উপায় নেই। ওই রাতের বিলাসিতাতেও কিন্তু চরচর করে বাড়তে থাকে বিদ্যুতের বিল।
কিন্তু এ বার সেই চিন্তা থেকে কিছুটা মুক্তি মিলতে চলেছে। বাজারে এমন এক এসি আসছে, যা ব্যবহারের জন্য আর পকেটের কথা ভাবতে হবে না আপনাকে। অন্তত রাতের ঘুমটুকু হবে নিশ্চিন্তে।
এই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র শুধু আরামে ঘুমই নয়, আপনার ব্যাঙ্ক ব্যালান্সও বাড়াতে সাহায্য করবে। কী ভাবে? কারণ দামেও যেমন কম, প্রতি মাসে বিদ্যুতের বিলও অন্য এসির তুলনায় কম আসবে এর ব্যবহারে।
একটি বেসরকারি সংস্থা এই এসি তৈরি করার দাবি জানিয়েছে। তৈরি করেছেন রবি পটেল নামে এক ব্যক্তি।
এই এসির দাম ১৭ হাজার থেকে ১৯ হাজার টাকার মধ্যে। যেখানে দেড় টনের মোটামুটি মানের এসির দাম ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু।
দেড় টন ফাইভ স্টার এসিতে বিদ্যুৎ খরচ হয় প্রতি ঘণ্টায় মোটামুটি ১৪৯০ ওয়াট, থ্রি স্টার দেড় টন এসিতে বিদ্যুতের খরচ প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১৫৬৬ ওয়াট। সেখানে এই এসিতে প্রতি ঘণ্টায় মাত্র ৪০০ ওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন।
দেড় টন এসির চেয়ে ওজনেও অনেক হালকা এবং ছোট এই এসি উচ্চতায় ৮ ইঞ্চির চেয়ে ছোট, দৈর্ঘ্যে ১১ ইঞ্চি এবং প্রস্থে ১৮ ইঞ্চি। আর ওজন? ওজন মাত্র ১৩ কিলোগ্রাম।
দেখতে অনেকটা তাঁবুর মতো। এমন ভাবে এটি বানানো হয়েছে, যাতে সারা ঘরের বদলে শুধুমাত্র বিছানাটুকু ঠান্ডা করা যায়। দেওয়ালের সঙ্গে যুক্ত না থাকায় প্রয়োজনে অন্য ঘরেও নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
রবির দাবি, বিদ্যুৎ চলে গেলেও নির্দ্বিধায় ইনভার্টারে চালাতে পারবেন এই এসি। ইনস্টল করার জন্য টেকনিশিয়ানের সাহায্যেরও প্রয়োজন নেই। কিনে এনে নিজেই বাড়িতে লাগিয়ে ফেলতে পারবেন।