এ ভাবে হাতের কাছে নয়, আগুনের ফুলকি এড়াতে শরীর থেকে দূরে রাখুন বাজি। ছবি: শাটারস্টক।
বাজি পোড়ানোর সময় কিছু জরুরি সতর্কতা কমবেশি সকলেই মেনে চলেন। তবু মুহূর্তের অসাবধানতায় বা বাজির হঠাৎ বিস্ফোরণে বিপদ ঘনাতেই পারে। পুড়ে গেলে বা বাজির বিস্ফোরণের শিকার হলে অকারণে ভয় পেয়ে পরিস্থিতিকে জটিল করে ফেলেন অনেকেই। চিকিৎসকদের মতে, অকারণে ভয় না পেয়ে বরং কিছু উপায় অবলম্বন করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে সহজেই।
পুড়ে যাওয়া থেকে বাঁচতে যেমন সুতির কাপড় পরা, মাস্ক ব্যবহার করা, জুতো পরে বাজি পোড়ানোর মতো সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, ঠিক তেমনই বিপদ ঘটে গেলে তার মোকাবিলাও করতে হবে খুব ঠান্ডা মাথায়।
কালীপুজোর দিন নানা জায়গাতেই বাজি বিস্ফোরণ ও পুড়ে যাওয়ার খবর মেলে। জানেন কি এমন আচমকা বিপদে কী কী করণীয়? সে কথাই জানালেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় ঘোষ ও প্লাস্টিক সার্জেন জয়ন্ত সাহা।
আরও পড়ুন: বাজি পোড়ান, কিন্তু বিপদ এড়াতে এগুলো অন্তত মাথায় রাখুন
চিকিৎসকদের মতে, বাজি পোড়াতে গিয়ে কোনও অংশ পুড়ে গেলে ক্ষতস্থানে প্রচুর পরিমাণে ঠান্ডা জল দিন। বরফ জল হলে খুবই ভাল। কিন্তু কোনও ভাবেই পোড়া জায়গায় বরফ দেবেন না। এতে শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করা যায় না। অনেক সময় চোখে আলোর ফুলকি ঢোকে। সে ক্ষেত্রে কোনও অবস্থাতেই চোখ ঘষবেন না, বরং ঠান্ডা জলে চোখ ধুয়ে নিন। নাকে হঠাৎ বাজির গ্যাস ঢুকে গেলে বিপদ হতে পারে। কার্বন মনোক্সাইডের প্রাচুর্য থাকায় বাজির গ্যাস থেকে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তাই তেমন হলে সঙ্গে সঙ্গে খোলা কোনও জায়গায় যান, যেখানে মুক্ত হাওয়া পাবেন। বাড়বাড়ি হলে অবশ্যই অক্সিজেন নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন: বুট বা চটির তলায় হিল?এ সব জানলে আজ থেকেই বদলাবেন জুতো
হাতের কাছে মজুত রাখুন সিলভার সালফা ডায়োজিন বা ন্যানো সালফার জাতীয় মলম। অল্প পুড়লে ঠান্ডা জল কিছু ক্ষণ ক্ষতস্থানে দেওয়ার পর এই মলম লাগিয়ে নিন। তার উপর ভেসলিন গজ লাগান। পুড়ে যাওয়া থেকে স্বাভাবিক ভাবেই ব্যথা হতে পারে। তেমন হলে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ রাখুন হাতের কাছে। পুড়ো যাওয়া জায়গা না শুকানো অবধি অন্য কোনও ক্রিম বা সাবান ব্যবহার করবেন না। পোড়ার গাঢ়ত্বের উপর নির্ভর করে এর পরিচর্যা। বেশি পুড়লে অযথা ভয় না পেয়ে দ্রুত যোগাযোগ করুন স্থানীয় চিকিৎসকের সঙ্গে। যত তাড়তাড়ি পোড়ার চিকিৎসা শুরু হবে তত দ্রুত মিলবে নিরাময়।