lifestyle

এই ভাবে যত্ন নিন, বছরের পর বছর কম্বল থাকবে আরামদায়ক

সামান্য কিছু টিপস মনে রাখুন। দেখবেন, আগের প্রজন্মের কম্বল সঙ্গী হয়ে উঠেছে আপনার শীতযাপনেরও।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৫:২০
Share:

বছরের পর বছর কম্বলের ওম আরামদায়ক রাখতে কিছু যত্নআত্তি প্রয়োজন। ছবি: শাটারস্টক

কম্বল ছাড়া শীতকাল ভাবাই যায় না। এটা সংসারের সেই অপরিহার্য জিনিসগুলির মধ্যে পড়ে, যেগুলি প্রতি বছর কেনা হয় না। বছরের পর বছর কম্বলের ওম আরামদায়ক রাখতে কিছু যত্নআত্তি প্রয়োজন। সামান্য কিছু টিপস মনে রাখুন। দেখবেন, আগের প্রজন্মের কম্বল সঙ্গী হয়ে উঠেছে আপনার শীতযাপনেরও।

Advertisement

ভাল করে ঝাড়ুন

শীতের মরসুম জুড়ে মাঝে মাঝেই আলো-বাতাসে মেলে দিন কম্বল। খুব ভাল হয়, যদি শুকনো কম্বল ঝুলিয়ে রেখে ভাল করে ঝাড়তে পারেন। এতে সহজেই ধুলো চলে যায়। আবার কম্বল আরামদায়কও হয়ে ওঠে।

Advertisement

কাজে লাগান পুরনো ব্রাশ

হাতের কাছে রেখে দিন পুরনো ব্রাশ। দেখবেন এর ব্রিসলগুলি যেন নরম হয়। এ বার ওটা দিয়ে ধীরে ধীরে কম্বল ব্রাশ করতে থাকুন। পরিষ্কার জায়গায় কম্বল বিছিয়ে একই দিকে ব্রাশ করবেন। তা হলে কম্বলে আটকে থাকা ধুলো বেরিয়ে যাবে।

কার্যকরী ক্লাব সোডা

কম্বলে দাগ লাগলে সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার করুন। পুরনো দাগ কম্বল থেকে ওঠানো খুব মুশকিল। তবে দাগ তোলার জন্য সরাসরি যে কোনও সাবান ব্যবহার করবেন না। তার বদলে ঠান্ডা জলের সঙ্গে মাইল্ড ডিটারজেন্ট, ক্লাব সোডা মিশিয়ে ব্যবহার করুন। যে জায়গায় দাগ লেগেছে, সেই অংশটুকু এই মিশ্রণে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর পরিষ্কার শুকনো কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।

সবসময় ঠান্ডা জল

নিতান্ত ময়লা না হলে কম্বল চট করে কাচবেন না। যদি কাচতেই হয়, তা হলে আগে ঠান্ডা জলে পনেরো মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। তারপর উলের জন্য নিরাপদ এমন কোনও ডিটারজেন্ট দিয়ে ওয়াশিং মেশিনে কম্বল পরিষ্কার করুন। গরম জল একদমই দেবেন না।

কম্বলের জন্য মাইল্ড ডিটারজেন্ট ব্যবহার করুন। ছবি: শাটারস্টক

ডেলিকেট ওয়াশ

দেখবেন, যেন দু’মিনিটের বেশি কম্বল ওয়াশিং মেশিনের ভিতরে না থাকে। এবং কাচার সময় মেশিনের ‘জেন্টল মোড’ বা ‘ডেলিকেট ওয়াশ’ বা ‘হ্যান্ড ওয়াশ’ মোড সিলেক্ট করবেন। তবে আধুনিক যন্ত্রে কম্বল কাচার জন্য আলাদা অপশন থাকে। মনে করে সেটাই বেছে নেবেন।

জড়িয়ে রাখুন তোয়ালে দিয়ে

ওয়াশিং মেশিন থেকে বের করে ভিজে কম্বল শোকাতে দেওয়ার আগে শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুড়ে রাখুন। এতে বাড়তি জল শুষে নেবে।

ড্রায়ারের বদলে বাতাস

ড্রায়ারের বদলে কম্বল শুকিয়ে নিন বাতাসে। ড্রায়ারে ক্ষতি হয় কম্বলের তন্তুর। তবে কড়া রোদে সরাসরি ভিজে কম্বল শোকাতে দেবেন না। বরং ছায়া আছে, অথচ স্যাঁতসেতে নয়, এমন জায়গায় মেলে দিন ভিজে কম্বল।

নিমের পরশ

শীতের পরে বছরের বাকি সময় যেখানে কম্বল রাখেন, সেখানে কয়েকটা নিমপাতা ছড়িয়ে রাখুন। সিন্থেটিক কীটনাশকের থেকে বেশি কার্যকরী হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন