টোম্যাটো রান্নাঘরের এমনই এক সব্জি যা কাঁচাও যেমন খাওয়া হয়, তেমনই রান্নাতেও ব্যবহার করা হয় বহুল ভাবে। ভারতীয়, চাইনিজ, কন্টিনেন্টাল, আমিষ-নিরামিষ সব রকম রান্নাতেই টোম্যাটো বেশ অপরিহার্য। সুন্দর লাল দেখতে হওয়ার কারণে স্যালাড, গার্নিশিং-এর জন্যও টোম্যাটো জনপ্রিয়। এত ভাবে যখন খাওয়াই যায় তখন যত বেশি পারেন তত বেশি টোম্যাটো খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, পাকস্থলীর ক্যানসারের মতো ভয়াবহ রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে টোম্যাটো।
টোম্যাটোর হার্টের সমস্যা, রক্ত পরিষ্কার রাখা, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা, দৃষ্টিশক্তি উন্নত করার মতো গুণের কথা বিভিন্ন সময়ে বলেছেন গবেষকরা। কিন্তু সরাসরি ক্যানসার উপশমে টোম্যাটোর গুণের কথা কখনই বলেননি তারা। এখন টোম্যাটোর রস পাকস্থলীতে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি ও ছড়িয়ে পড়া রুখে দিতে পারে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। ইতালির অঙ্কোলজি রিসার্চ সেন্টার অব মার্কোগিলানোর গবেষক ড্যানিয়েলা ব্যারন বলেন, “টোম্যাটোতে থাকা লাইকোপেনের অ্যান্টিটিউমরাল গুণ রয়েছে। তবে সেটাই একমাত্র নয়। টোম্যাটোকে ক্যানসার রোধের সম্পূর্ণ ওষুধ হিসেবে দেখা উচিত। সান মারজানো ও করবারিনো টোম্যাটোর এই গুণ সবচেয়ে বেশি বলে দাবি গবেষকদের।
ইতালির সিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অ্যান্তনিও জিওরদানোর মতে, টোম্যাটো এতটাই উপকারী যে ক্যানসারের ডাক্তারি চিকিত্সার পাশাপাশি টোম্যাটো রস চিকিত্সার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে।
এই মুহূর্তে বিশ্বে যে সব ক্যানসার সবচেয়ে বেশি মাত্রায় ছড়িয়ে পড়েছে তার মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকস্থলীর ক্যানসার। জেনেটিক ফ্যাক্টর, হেলিকোব্যাকটর পাইলোরি ইনফেকশন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত নুন ও স্মোকড খাবার খাওয়ার অভ্যাসের কারণে পাকস্থলীর ক্যানসার হতে পারে।
ভূমধ্যসাগরীয় ডায়েটের একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে টোম্যাটো। তাই টোম্যাটো সম্পর্কে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ক্যানসারের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
আরও পড়ুন: খাবার থেকে অ্যালার্জি, অ্যাস্থমা কি মানসিক সমস্যা?
সেলুলার ফিজিওলজি জার্নালে এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে।