Popular Customs

সন্তানের জন্মের পরের দিনই দু’বছরের জন্মদিন পালন! এমনটা কোথায় সম্ভব?

বিশ্বের নানা প্রান্তে গেলে নানা রকম আচার-বিচারের সম্মুখীন হতে হবে, যার মধ্যে কিছু আপনাকে মুগ্ধ করলেও কিছু আপনাকে হতবাক করবে। এই সব দেশে আপনাকে জানতেই হবে কিছু অজানা নিয়ম!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২২ ১০:১৭
Share:

শিশু যদি ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ জন্ম নেয় তা হলে জানুয়ারির ১ তারিখ সেই শিশুর বয়স হবে ২ বছর। কেন এমনটা হয়? প্রতীকী ছবি।

ভারতে নানা ভাষার মানুষজন বাস করেন। বিয়ে হোক বা পুজো, নানা জাতির, নানা ধর্মের মানুষজনের নানা প্রকার নিয়মবিধি রয়েছে। আছে বৈচিত্রও। পৃথিবীর নানা প্রান্তে গেলে নানা রকম আচার-বিচারের সম্মুখীন হতে হবে যার মধ্যে কয়েকটি আপনাকে মুগ্ধ করলেও কিছু নিয়ম বিস্মিত করবে। আপনি যদি বিদেশ-বিঁভুইয়ে যেতে পছন্দ করেন, তা হলে আপনাকে জানতেই হবে বিশ্বের নানা দেশের কিছু অজানা নিয়ম!

Advertisement

১) মিশরে গিয়ে নুন চাওয়া যাবে না

ভাতের সঙ্গে জমিয়ে মাংসের ঝোল মাখলেন, তবে মুখে দিতেই মনে হল নুনটা কম! তাতে কী! পাতে নুন চেয়ে নিলেই মুশকিল আসান। তবে এই কাজটা আপনি মিশরে গিয়ে করতে পারবেন না। এই আচরণ মিশরের লোকেদের কাছে অপমানজনক। নুন চাওয়া মানে তাঁদের রান্নাকে খারাপ বলা। তাই আপনি যদি নুন বেশি খান তা হলে কিন্তু নিজের সঙ্গে নুনের পাউচ রাখাই শ্রেয়।

Advertisement

২) দক্ষিণ কোরিয়ায় শিশু জন্মালেই তার বয়স ১ বছর ধরা হয়

দক্ষিণ কোরিয়ায় কোনও শিশু যদি ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ জন্ম নেয় তা হলে জানুয়ারির ১ তারিখ সেই শিশুর বয়স হবে ২ বছর। কেন এমনটা হয়? আসলে কোরিয়ানরা মায়ের গর্ভে থাকা ৯ মাসকেও আসল বয়সের মধ্যে ধরে গণনা করে থাকেন।

ইন্দোনেশিয়ার ঘরে ঘরে কলাপাতাতেই খাবার পরিবেশন করা হয়। প্রতীকী ছবি।

৩) সদ্যোজাতের উপর লাফানোর রীতি স্পেনে

ক্যাস্ত্রিলো দে মুরসিয়া হল উত্তর স্পেনের একটি শহর, যেখানে সদ্যোজাত শিশুদের ঘিরে এক অদ্ভু্ত রীতির প্রচলন রয়েছে। রঙিন পোশাক পরে একদল মানুষ ‘এল সালতো দেল কোলাচো’ নামক একটি উৎসবের অংশ হিসাবে নবজাতকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। না এতে শিশুদের কোনও ক্ষতি হয় না। এই রীতি মেনে তাদের দীক্ষিত করা হয়।

৪) কলাপাতায় খাওয়ার চল রয়েছে ইন্দোনেশিয়াতে

ভারতের পূর্ব ও দক্ষিণ প্রান্তে কিছু কিছু প্রদেশে কলাপাতায় খাওয়ার চল রয়েছে বটে, তবে ইন্দোনেশিয়ার ঘরে ঘরে এই পাতাতেই খাবার পরিবেশন করা হয়। না কেবল সৌন্দর্যের খাচিরে বা স্বাস্থ্যগুণের জন্য নয়, এই পাতা অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব, তাই এই রীতি। কলাপাতায় খেলে জলের অপচয় কম হয়। শুধু তা-ই নয়, এই পাতা থেকে যে বর্জ্য তৈরি হয়, তা-ও কৃষিকাজে লেগে যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement