Weird but True

ডাঙায় সংসার খরচ বেশি, তাই স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে জলেই সংসার পেতেছেন দম্পতি

বিশ্বভ্রমণের স্বপ্ন ছিল দুজনেরই। কিন্তু সংসার খরচ সামলে তা পূরণ করা সম্ভব ছিল না। তাই ফ্লোরিডার বাসিন্দা জন হেনিস এবং তাঁর স্ত্রী মেলডি হেনিস বছর তিনেক আগেই বাড়িঘর, সোনাদানা বিক্রি করে করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:১৯
Share:

পথ হারাব বলেই এ বার ‘জলে’ নেমেছি। ছবি: সংগৃহীত।

সংসারের ঝক্কি পোহানো কি মুখের কথা? বাড়িভাড়া, বাজার খরচ, ফোনের বিল, বিদ্যুতের বিল তো আছেই। বিদেশে আবার জলের জন্য প্রত্যেক বাড়িতে মিটার বসানো থাকে। খরচ অনুযায়ী বিল মেটাতে হয়। এত সব ঝামেলা, দায়দায়িত্ব নিতে চান না বলে নিজেদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বেচে দিয়ে স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে জলে ভেসেই সংসার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এক দম্পতি। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে তাঁদের এই অভিনব জীবনযাত্রার কাহিনি।

Advertisement

বিশ্বভ্রমণের স্বপ্ন ছিল দু’জনেরই। কিন্তু সংসার খরচ সামলে তা পূরণ করা সম্ভব ছিল না। তাই ফ্লোরিডার বাসিন্দা জন হেনিস এবং তাঁর স্ত্রী মেলডি হেনিস বছর তিনেক আগেই বাড়িঘর, সোনাদানা বিক্রি করে করে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। তার পর তাঁরা একটি ‘মোটরহোম’ কেনেন। ক্যারাভ্যানের মতো এই গাড়িটি করেই শুরুর দিকে তাঁরা ঘুরে বেড়াতেন। আমেরিকার অজানা-অচেনা বিভিন্ন প্রান্তে গাড়ি চালিয়ে নিজেদের মতো করেই ঘুরে বেড়িয়েছেন ওই দম্পতি। তবে দীর্ঘ সময় গাড়ি চালালে একঘেয়েমি আসে চালকদের। জনের ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছিল। সেই থেকেই জলযানে ভেসে বেড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।

সমাজমাধ্যমেই প্রথম রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ক্রুজ়-এর বিষয়ে জানতে পারেন ওই দম্পতি। প্রায় ২৮০ দিন অর্থাৎ ন’মাসের জন্য সেই জাহাজে চড়ে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। এখনও পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া, নিউ জ়িল্যান্ড-সহ দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর সংলগ্ন সমস্ত দেশেই ঘুরেছেন তাঁরা। বর্তমানে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ডোমিনিকান রিপাবলিকের একটি বন্দরে কিছু দিনের জন্য নোঙর ফেলেছে তাঁদের প্রমোদতরী। এক সাক্ষাৎকারে জন বলেন, “ডাঙায় থাকার চেয়ে জলে জীবন কাটানোর খরচ অনেক কম। খাওয়া, থাকার খরচ বাদে আমাদের বাড়তি কোনও খরচ নেই। বাড়ি, গাড়ি, জীবনবিমা— আর কোনও কিছুর প্রয়োজন পড়ে না। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত জলে ভাসার সমস্ত পরিকল্পনা করাই আছে। নতুন করে আর ডাঙায় ফিরে যাওয়ার কোনও ইচ্ছে নেই।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন