প্রতীকী ছবি।
আইসক্রিম! ভ্যানিলা! উফ্! ভাবলেই কেমন জিভে জল চলে আসে তাই না? কিন্তু ভ্যানিলা আইসক্রিম ভেবে আপনি যেট খান, সেটা ভ্যানিলাই তো?
আসলে তা নয়, আপনি ভ্যানিলা আইসক্রিম ভেবে যেটা খান, তাতে শুধু ভ্যানিলার ফ্লেভারটাই থাকে। ভ্যানিলা থাকে না। এমনকি ফ্লেভারটাও প্রকৃত ভ্যানিলারনয়।
ভ্যানিলা আইসক্রিমে কেন ভ্যানিলা থাকে না?
ফ্রেশ মিল্ক, ক্রিম, ডিমের সাদা অংশ, চিনি এবং ভ্যানিলার মিশ্রণ রেফ্রিজারেটরে রেখে দিয়ে ভ্যানিলা আইসক্রিম তৈরি করা হয়। ভ্যানিলা হল একপ্রকারের অর্কিড। তার শুকনো ফলই আইসক্রিমে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ভ্যানিলার দাম খুব বেশি। মশলার মধ্যে জাফরানের পরই এর দাম। বা বলতে পারেন রুপোর থেকেও বেশি দামি। এই মুহূর্তে এক কেজি ভ্যানিলার দাম ৩৯ হাজার ৮০৭ টাকা, আর এক কেজি রুপোর দাম ৩৭ হাজার ৩৫০ টাকা।
তার উপর দিনের খুব কম সময়ের জন্য ভ্যানিলা ফুল ফুটে থাকে। তার মধ্যে পরাগসংযোগ না ঘটলে ফল হবে না। তাই স্বাভাবিক ভাবে পরাগবাহীদের (মৌমাছি, প্রজাপতি) উপরে ভরসা না করে মানুষকেই তাতে হাত লাগাতে হয়। তারপর সেই ফুল থেকে ফল পেতে ৬ মাস সময় লেগে যায়। শুধুমাত্র নিরক্ষীয় অঞ্চলেই ভ্যানিলা অর্কিড চাষ হয়ে থাকে। এই সব কারণে ভ্যানিলার দাম খুবই বেশি।
আরও পড়ুন: বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছনো সন্তানকে এ সবও বলেন না কি? তা হলে সাবধান
এ বার আপনিই বুঝে নিন, যে ভ্যানিলা আইসক্রিম আপনি খান তার দাম কত? আর তার মধ্যে প্রকৃত ভ্যানিলা থাকার সম্ভাবনা কতটা?
প্রকৃত ভ্যানিলা আইসক্রিম খেতে চাইলে প্যাকেটের গায়ে ন্যাচরাল ভ্যানিলা, দুগ্ধজাত ক্রিম অবং ফ্রেশ মিল্ক— এই তিনটি উপকরণ দেখে নিন।