Viral Incident

‘খো গয়ে হম কহাঁ’ দেখার পরই কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন এক মহিলা, কী এমন ঘটেছিল ছবিটিতে?

অফিসের কাজ, গেরস্থালির প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা, বিল দেওয়া থেকে বিনোদন— সব কিছুর জন্যেই ফোনের উপর মানুষের নির্ভরশীলতা বেড়েছে। কিন্তু তার প্রভাব কি সত্যিই ভাল?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৪২
Share:

‘খো গয়ে হম কহাঁ’ ছবিতে সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী, অনন্যা পাণ্ডে এবং আদর্শ গৌরব। ছবি: সংগৃহীত।

খেতে, শুতে, রাস্তায় চলতে এমনকি কমোডে বসেও মোবাইল দেখা অভ্যাস। অন্য কিছু চোখের আড়াল হলে ক্ষতি নেই। ফোন যেন হাতছাড়া না হয়। ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, এক্স তো বটেই, তা ছাড়াও অফিসের কাজ, গেরস্থালির প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা, বিল দেওয়া থেকে বিনোদন— সব কিছুর জন্যেই ফোনের উপর মানুষের নির্ভরশীলতা বেড়েছে। হাতে ফোন না দিলে মুখ থেকে খাবার পেটে যায় না খুদের। আবার, এই ফোনে মুখ গুঁজে থাকার অভ্যাসের জন্যেই কিন্তু বহু পরিবারেই ভাঙন ধরে। প্রতিটি সদস্যের ব্যক্তিগত সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকার উদাহরণও রয়েছে বহু। বাড়ির সকলের মোবাইল ফোনের নেশা ছাড়াতে এ বার অভিনব এক পন্থা নিয়েছেন তরুণী। সেই ছবিই ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে।

Advertisement

মঞ্জু গুপ্ত নামের ওই মহিলা, মোবাইলের সঠিক ব্যবহার সংক্রান্ত নিয়মাবলি সম্মতিপত্রে লিখে, পরিবারের সকলের কাছ থেকে ওই পত্রে সই করিয়ে নিয়েছেন। তিনি বলেন, “কিছু দিন আগে ওটিটি-তে 'খো গয়ে হম কহাঁ' ছবিটি দেখার পর আমি বুঝতে পারি, আমার সন্তানদের জীবনেও ফোন, সমাজমাধ্যম— জটিল কোনও রোগের কারণ হয়ে জাঁড়াতে পারে। তাই এই যন্ত্রটির ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ রাখা প্রয়োজন।”

তিনটি নিয়ম উল্লেখ করে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প পেপারে সই করিয়ে রেখেছেন তিনি। সেখানে লেখা রয়েছে, ১) ঘুম ভাঙা মাত্রই পরিবারের সকলকে সূর্যের দিকে কিছু ক্ষণ তাকিয়ে থাকতে হবে। ফোন হাতে নেওয়া যাবে না। ২) দিনের মধ্যে যে কোনও একটি বার পরিবারের সকলের সঙ্গে টেবিলে বসে খাবার খেতে হবে। সেই সময়ে টেবিলের আশপাশে ফোন রাখা যাবে না। ৩) কমোডে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রিল দেখে কাটান অনেকেই। যাতে অযথা সময় নষ্ট না হয়, তাই ফোন নিয়ে শৌচাগারে যাওয়ার ক্ষেত্রেও একই রকম বিধিনিষেধ রয়েছে। এখানেই শেষ নয়। যদি কেউ এই নিয়ম ভঙ্গ করেন, সে ক্ষেত্রে শাস্তিও রয়েছে। এক মাসের জন্য বাইরে থেকে খাবার এনে বা অনলাইনে খাবার অর্ডার করে খেতে পারবেন না বলে লেখা রয়েছে ওই সম্মতিপত্রে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন