রোজ সকালে গরমে তা়ড়াহু়ড়ো করে স্নান করে যখন অফিসে ঢোকেন তখন মুডটা একটু বিগড়েই থাকে। এক কাপ কফিতে যতক্ষণ না গলা ভিজছে কাজে মন বসবেই না। কিন্তু আজ ডেস্কটপে বসেই মনটা কেমন যেন ফুরফুরে হয়ে গেল। টুংটাং করে সুর ভাঁজতে শুরু করলেন আপন মনে। নিজেই বানিয়ে ফেললেন ভিজ্যুয়াল। গল্পটা কি আপনার সঙ্গে মিলছে? এমনটা আজ অনেকের সঙ্গেই হয়েছে। সৌজন্যে গুগল ডুডল।
ফিল্মমেকার ও অ্যাবস্ট্র্যাক্ট অ্যানিমেটর অস্কার ফিসিঞ্জারের ১১৭তম জন্মদিন উপলক্ষে অসাধারণ একটি ইউজার ইন্টার্যাকটিভ ডুডল তৈরি করেছে গুগল। কম্পিউটার গ্রাফিক্স, মিউজিক ভিডিও আসার অনেক আগেই এনেছিলেন অস্কার। তাঁর প্রসঙ্গে গুগলের ব্লগে লেখা হয়েছে, ‘‘ডিজাইনের জগতে ফিসিঙ্গার একজন উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। মোশন ও কালার দিয়ে অ্যানিমেশন তৈরি করতে উনি মাসের পর মাস, কখনও বছরের পর বছর কাটিয়ে দিয়েছিলেন।’’
গুগলের এই ডুডল পেজে গিয়ে ডট সিলেক্ট করে ১১x১৬ গ্রিডের নিজেরাই কম্পোজ করতে পারবেন মিউজিক। বেছে নিতে পারবেন পছন্দের বাদ্যযন্ত্রও।
আরও পড়ুন: ভারতে বেশির ভাগ ফ্যানে ৩ ব্লেড, আমেরিকার ৪, কেন জানেন?
১৯৩৬ সালে নাজি জার্মানিতে তাঁর বিমূর্ত শিল্প হিটলার ধ্বংস করে দেওয়ায় জার্মানি ছেড়েছিলেন ফিসিঙ্গার। প্রযুক্তি, সফটওয়্যার আসার আগে শুধুমাত্র সুরের প্রতি অদম্য ভালবাসায় ভর করে একের পর এক সিঙ্ক্রোনাইজড মোশন অ্যানিমেশন মিউজিক তৈরি করে গিয়েছেন ফিসিঙ্গার। তাঁর বিখ্যাত উক্তি, সুর শব্দের জগতে সীমাবদ্ধ নয়। দৃশ্যের জগতেও সুর রয়েছে।