শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের রক্ত সংগ্রহের কাজ চলছে। —নিজস্ব চিত্র
রক্তে এনসেফ্যালাইটিসের জীবাণু রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে দুবরাজপুর পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কয়েকজন বাসিন্দার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। সোমবার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পাঠানো একটি মেডিক্যাল টিম।
প্রসঙ্গত দুবরাজপুরের ওই ওয়ার্ড থেকেই অ্যাকিউট এনসেফ্যালাইটিস সিন্ড্রোম নিয়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সালোনি খাতুন নামে বছর ন’য়ের একটি মেয়ে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তৎপরতা সেই কারণেই বলে জানিয়েছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা কার্তিক কুমার মণ্ডল। তিনি জানান, গত মাসের শেষের দিকে সালোনি খাতুন নামে একটি বাচ্চা মেয়ে জ্বর নিয়ে সিউড়ি হাসপাতালে ভর্তি হয়ছিল। তার এনসেফ্যালাইটিসের উপসর্গ দেখে তাকে বর্ধমান মেডিক্যালে রেফার করা হয়। বর্ধমান মেডিক্যালে না গিয়ে বর্ধমানের একটি নার্সিংহোমে মেয়েটিকে ভর্তি করিয়েছিল ওর পরিবার। তিনি বলেন, “তারপর সেখান থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুনেছি ওর এনসেফালাইটিস হয়েছে। যদিও বাচ্চা মেয়েটির এনসেফ্যালাইটিসই হয়েছে এমন তথ্য আমার কাছে নেই। কিন্তু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসাবে ওই মেয়েটির বাড়ির আশপাশে যাঁদের জ্বর হয়েছে তাঁদের সকলেরই রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।”
মেডিক্যাল দল সূত্রের খবর এনসেফ্যালাইটিস হয়েছে কিনা দেখার জন্য ১০ জনের শরীর থেকে এবং ম্যালেরিয়া বা অন্যান্য রোগের সংক্রমণ ঘটছে কিনা জানতে বাকি ২৫ জনের রক্তের নমুনা সংগৃহীত হয়েছে। সিএমওএইচ বলেন, “আমাদের এখানে এনসেফ্যালাইটিস নির্ণয়ের জন্য যে রক্ত পরীক্ষার প্রয়োজন তার পরিকাঠামো জেলায় নেই। তাই সংগৃহীত রক্তের নমুনা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। কয়েকদিন আগে লাভপুরেও অজানা জ্বরের আক্রমণ হওয়ায় সেখান থেকে 8 জনের রক্ত এনসেফ্যালাইটিসের জীবাণু রয়েছে কিনা জানার জন্য বর্ধমান মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছিল। সেগুলির রিপোর্ট এসেছে আজকেই। তবে ওই রক্তের নমুনায় তেমন কিছু মেলেনি।”