এনসেফ্যালাইটিসে মৃত্যু নিয়ে বিক্ষোভ কোচবিহারের গ্রামে

জ্বরে অচেতন হয়ে এক মহিলার মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা পরেও স্বাস্থ্য দফতরের কোনও দল যায়নি। গ্রামে কোনও আশা কর্মীকেও এলাকায় দেখা যায়নি। কোচবিহার-সহ উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে এনসেফ্যালাইটিস নিয়ে যখন মৃত্যুর মিছিল অব্যাহত রয়েছে, সে সময় ওই ঘটনা ঘিরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে কোচবিহারের ঘোড়ামাড়া-কালিঘাট গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে। অভিযোগ, গ্রামের কোথাও মশা মারতে ব্লিচিং পাউডার বা তেল ছিটিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা কেউ করেননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৪ ০২:১০
Share:

জ্বরে অচেতন হয়ে এক মহিলার মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা পরেও স্বাস্থ্য দফতরের কোনও দল যায়নি। গ্রামে কোনও আশা কর্মীকেও এলাকায় দেখা যায়নি। কোচবিহার-সহ উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে এনসেফ্যালাইটিস নিয়ে যখন মৃত্যুর মিছিল অব্যাহত রয়েছে, সে সময় ওই ঘটনা ঘিরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে কোচবিহারের ঘোড়ামাড়া-কালিঘাট গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে। অভিযোগ, গ্রামের কোথাও মশা মারতে ব্লিচিং পাউডার বা তেল ছিটিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা কেউ করেননি। কোনও সচেতনতামূলক প্রচার অভিযান দেখেনি গ্রামের মানুষ। তা নিয়ে খোদ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা সরব হওয়ায় বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে ব্লক প্রশাসন। এ দিন দুপুরে সেখানে আশা কর্মীদের পাঠান কোচবিহার ১ নম্বর ব্লক প্রশাসন। শুধু ওই গ্রাম নয়, জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত কোচবিহারের বহু গ্রামেই এই অভিযোগ উঠছে। কিছুদিন স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী কোচবিহারে এসে আশ্বাস দিয়েছিলেন। রক্তের কিট ৪ অগস্টের মধ্যে জেলা হাসপাতালে পৌঁছবে। ৭ অগস্ট হয়ে গেলেও কবে কিট আসবে সে ব্যাপারে কেউ স্পষ্ট করে বলতে পারছে না। তিরিশ লক্ষ মানুষের জন্য বরাদ্দ হয়েছে দুটি ফগিং মেশিন। ওই মেশিনে কত এলাকায় কাজ করা সম্ভব হবে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

Advertisement

গ্রামের বাসিন্দারা জানান, সাজনা বিবি (৬০) চারদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন বুধবার সকালে নিজের বাড়িতেই তাঁর মৃত্যু হয় কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন বলেন, আমরা সব জায়গায় ব্লিচিং ছড়ানো থেকে তেল স্প্রে করার কাজ করছি সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান হচ্ছে ওই এলাকা থেকে কেন অভিযোগ উঠছে তা খতিয়ে দেখব কোচবিহার-১ নম্বর ব্লকের বিডিও স্বপন মাঝি জানান, বিষয়টি নিয়ে ব্লক মেডিক্যাল অফিসারের সঙ্গে কথা বলেছেন সাজনা বিবি কুষ্ঠ রোগী তাঁর চিকিসা চলছিল জেলা হাসপাতালেও চিকিসা হয়েছে তিনি এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাননি কালিঘাট-ঘোড়ামাড়া গ্রানের বাসিন্দা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মোকছেদা এই দিন বিবি বলেন, আমাদের গ্রামের কোথাও এক ফোঁটা ব্লিচিং পড়েনি কোনও স্প্রে হয়নি গ্রামে অধিকাংশ মানুষ সামান্য পড়াশোনা করেছেন এই অবস্থায় সচেতনতা প্রচারের প্রয়োজন ছিল তা হয়নি আমরা বার বার বলেও কোনও কাজ হয়নি পানিশালা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলেরই প্রধান রীনা সিংহ অবশ্য দাবি করেছেন, ওই এলাকায় ব্লিচিং ছড়ানোর কাজ হয়েছে মাইক দিয়ে বাসিন্দাদের সচেতন করার জন্য প্রচার করা হয়েছে।

প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী ৪ অগস্ট পর্জন্ত ১৭৫ জন রোগী এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়েছেন এদের মধ্যে ৪৬ জনের (একজন অসমের) শরীরে জাপানি এনসেফেলাইটিসের জীবাণু পাওয়া গিয়েছে সবমিলিয়ে গত ৪ তারিখ পর্জন্ত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এদের মধ্যে ৮ জন জাপানি এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এরা হলেন চিলকিরহাটের মনো পাল (৫০), শিবপুরের সুনির্মল বর্মন (৬০), সুংসুঙিবাজারের আব্দুল কাদের (৬০), লাফাবাড়ির জ্যোতিন্দ্রনাথ বড়াই (৬৫), বড়ভিটার সুখদেব দাস (৫৫), হলদিবাড়ির মিনু দেব সিংহ (৩৫), পুন্ডিবাড়ির আমিনা বেওয়া (৭০), মানাবাড়ির লক্ষ্মীকান্ত শীল (৭০) জাপানি এনসেলাইটিসে আক্রান্ত হয়েছেন পেটলা, গীতালদহ, কুর্শামারি, শীতলখুচি, বামনহাট, কানফাটা, জোরপাটকি, ঘোকসাডাঙ্গা, শিকারপুর, খাগরাবাড়ি সহ জেলার বিভিন্ন এলাকা রয়েছে অভিযোগ উঠেছে, গীতালদহ, পেটলা, চিলকিরহাট, কানফাটার মতো বেশ কয়েক জায়গায় নাম কা ওয়াস্তে ব্লিচিং ছড়িয়ে কাজ সারা হয়েছে।

Advertisement

এই অবস্থায়, মশা মারার জন্য দুটি ফগিং মেশিন কেনার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কোচবিহার জেলাকে কোচবিহার জেলায় ১২৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ বসবাস করেন। দুটি ফগিং মেশিনে কী করে সমস্ত এলাকা ধোঁয়া ছড়ানো সম্ভব?

বোমাবাজি। জলাশয়ে মাছ ধরাকে ঘিরে বিবাদে সিপিএমের দুটি গোষ্ঠীর গোলমালে উত্তেজনা ছড়াল। মালদহের রতুয়ার চাঁদমণি এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে। গ্রাম পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বোমার আঘাতে দু’পক্ষের ছ’জন জখম হন। পুলিশের ভয়ে হাসপাতালে ভর্তি না করিয়ে গোপনে তাদের চিকিৎসা চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন