কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সোমবার নদিয়ার রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের শিশু চিকিৎসক সুদীপ সরকারকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, চিকিৎসার জন্য একটি শিশুকে তাঁর কাছে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি চিকিৎসা তো করেননি উল্টে শিশুটির পরিবারের লোকেদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। সুদীপবাবু অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত গত রবিবার রাতে। এ দিন রাত ৮টা নাগাদ চিকিৎসার জন্য মাস চারেকের নাতিকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন তাহেরপুর থানার বাদকুল্লা ধানহাট এলাকার বাসিন্দা সুপ্রিয়া মণ্ডল। শিশুটি একাধিকবার বমি করার পর সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে। প্রথমে তাকে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে হাসপাতালে উপস্থিত ওই শিশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন হাসপাতালেরই আর এক চিকিৎসক। সুদীপবাবু সেই সময় হাসপাতালের অন্তঃবিভাগে রোগী দেখছিলেন। সুপ্রিয়াদেবী বলেন, “ওই চিকিৎসককে দেখাতে গেলে আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এমনকী নাতিকে না দেখেই তিনি হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান। পরে অন্যান্য কর্মীদের সাহায্যে অন্য এক চিকিৎসককে দেখিয়ে বাড়ি ফিরে যাই। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে হাসপাতালের সুপার অতীন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, “সে দিন খবরটা জানতে পেরে হাসপাতালের অন্য এক জন চিকিৎসককে দিয়ে শিশুটিকে দেখানোর ব্যবস্থা করি। পরে ওই রোগীর পরিবারের লোকেদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে ওই চিকিৎসককে কারণ দর্শানোর জন্য চিঠি পাঠিয়েছি।” তিনি আরও বলেন, “ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উচ্চপদস্থ আধিকারিকদেরও জানিয়েছি।”
অভিযুক্ত চিকিৎসক সুদীপবাবু বলেন, “উত্তর যেখানে যা দেওয়ার দেব। তবে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে তা একেবারেই মিথ্যা। ওই মহিলা আমরা কছে শিশুটিকে নিয়ে এসেছিলেন। আমার কাছ এসে তাঁরা অন্য এক জন চিকিৎসকের কাছে শিশুটিকে দেখাতে চান। এমনকী শিশুটিকে দেখতে গেলেও তাঁরা দেখতে দেননি। এখন শুনছি আমার নামে অভিযোগ করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “সকলের কাছে খবর নিয়ে দেখবেন আমি সব সময় দায়িত্ব নিয়ে রোগী দেখে থাকি।”