গর্ভবতী মহিলার চিকিৎসার গফিলতিতে শিশু মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল আলিপুরদুয়ার জংশন রেলওয়ে হাসপাতালে। বুধবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপারেনন্টেডেন্টকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ। পরে উচ্চপদস্থ কর্তারা ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ তুলে নেনে রেল কর্মীরা। রেলের কর্মী সংগঠনের তরফে অভিযুক্ত চিকিৎসকে বরখাস্তের দাবি তোলা হয়ে। ঘটনার সূত্রপাত গত ২৭ অগস্ট বিকেলে। সে দিন রেলের এক কর্মী তাঁর সাত মাসের গর্ভবতী স্ত্রীকে নিয়ে যান হাসপাতালে। ওই মহিলার রক্তপাত শুরু হয়েছিল। অভিযোগ, জরুরি বিভাগে থাকা চিকিৎক দেবযানী সেন শর্মা তাঁকে ভর্তি না করে শুধু মাত্র ইঞ্জেকশন ও ওষুধ দিয়ে চলে যান। উপস্থিত নার্সদের জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁরা আলিপুরদুয়ার সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বার বার বলেও মেলেনি অ্যাম্বুলেন্স। পরে অটো করে ওই মহিলাকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে শিলিগুড়ি রেফার করেন চিকিৎসকরা। শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়ার পথে অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে রোগীর পরিবার কোচবিহারে নিয়ে যান। সেখানে রাত তিনটে নাগাদ অস্ত্রোপচার হয়। মহিলাকে বাঁচানো গেলেও তাঁর সন্তান বাঁচেনি। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএম সঞ্জীব কিশোর বলেন, “কেউ দোষী প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অভিযুক্ত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, “আমার এক্তিয়ারে হাসপাতালে ভর্তির বিষয়টি নেই। তাই ওই রোগীকে প্রয়োজনীয় ইঞ্জেকশন ও ওষুধ দিয়ে রেফার করে দিয়েছিলাম।”