চিকিৎসায় গাফিলতির দায়ে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের দুই চিকিৎসককে আর্থিক জরিমানার নির্দেশ দিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। গত ২৮ সেপ্টেম্বর কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক দীপককুমার মিশ্র ও কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের আধিকারিক চিকিৎসক মন্টু মাইতিকে ৬ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, গত বছর ৫ নভেম্বর কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের পুরুষোত্তমপুর গ্রামের বাসিন্দা সরস্বতী শ্যামল নামের এক মহিলা কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁকে মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে এ বি পজিটিভ গ্রুপের দুই ইউনিট রক্ত দেওয়া হয়। পরে আরও দুই ইউনিট রক্ত দিয়ে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটিও দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বাড়ি ফিরে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন সরস্বতীদেবী। তখন তাঁকে কলকাতার এনআরএস মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে জানা যায়, সরস্বতীদেবীর রক্তের গ্রুপ এ পজিটিভ। কিন্তু কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে তাঁকে এবি পজিটিভ গ্রুপের রক্ত দেওয়ার ফলেই এমন বিপত্তি।
কলকাতার হাসপাতালে কিছুদিন চিকিৎসার পর তিনি ফের বাড়ি ফেরেন। কিন্তু ফের অসুস্থ হয়ে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সেই সময় সরস্বতীদেবীর রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অনেক কম থাকায়(৪.৫) এবং তাঁর শরীর থেকে দু’বার রক্ত নিয়েও পরীক্ষা না করা হয়নি। গত ৬ এপ্রিল মৃত্যু হয় সরস্বতীদেবীর। এরপরই সরস্বতীদেবীর ছেলে দেবদুলাল শ্যামল ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের সুপার সব্যসাচী দত্ত-সহ তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ক্রেতা আদালতে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ জানিয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন।
তবে আদালত অবশ্য হাসপাতালের সুপার সব্যসাচী দত্তকে অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি দিয়েছে।