চোখ নষ্টের জেরে অস্ত্রোপচার বন্ধের সিদ্ধান্ত মালবাজারে

ছানি অস্ত্রোপচারের সময়ে চোখ নষ্ট হওয়ার ঘটনার জেরে মালবাজার ব্লকে ছানি কাটা আপাতত স্থগিত হয়ে গেল। অপারেশন থিয়েটারে জীবাণু থাকতে পারে, এই সন্দেহে চোখের শল্যচিকিৎসার বিভাগটিও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপাতত আর কোন চোখের অপারেশন মালবাজারে করা হবে না বলেও জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:০৪
Share:

ছানি অস্ত্রোপচারের সময়ে চোখ নষ্ট হওয়ার ঘটনার জেরে মালবাজার ব্লকে ছানি কাটা আপাতত স্থগিত হয়ে গেল। অপারেশন থিয়েটারে জীবাণু থাকতে পারে, এই সন্দেহে চোখের শল্যচিকিৎসার বিভাগটিও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপাতত আর কোন চোখের অপারেশন মালবাজারে করা হবে না বলেও জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

সোমবারে মালবাজার ছানি কাণ্ডের তদন্তে যান উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান অরুণাভ সরকার। তিনি এদিন অপারেশন থিয়েটার থেকে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান। ১৬অগষ্ট যেদিন পাঁচ প্রৌঢ়ের ছানি কাটা হয়েছিল সেদিন ব্যবহৃত ছুরি, কাঁচি, ওষুধ সবই সংগ্রহ করেন তিনি। এর পরে ওই ওটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। জলপাইগুড়ি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা বলেন, “অরুণাভ বাবুর রিপোর্ট না মেলা পর্যন্ত মালবাজার মহকুমা হাসপাতালের চোখের অস্ত্রোপচার বন্ধ থাকবে।”

এদিকে সোমবার সকালে মালবাজারের মহকুমাশাসক জ্যোতির্ময় তাঁতির সঙ্গে কুমলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের কান্তদিঘি গ্রামের দুই বৃদ্ধা খতেজা খাতুন আর সরুবালা রায়ের আত্মীয় পরিজনেরা দেখা করেন। ওই দুজনের চোখ নষ্ট হয়েছে। তাঁরা ক্ষতিপূরণও দাবি করেন। মহকুমাশাসক ক্ষতিপূরণের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানান।

Advertisement

শিলিগুড়িতে আমিরুল ইসলাম এবং জাবেদা বেওয়ার সঙ্গে এদিন দার্জিলিঙ জেলা আইনি পরিষেবা সমিতির সাধারণ সম্পাদক অমিত সরকার দেখা করেন।

অমিতবাবু বলেন, “পরিবারগুলি ক্ষতিপূরণ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে অনড় রয়েছেন। রাজ্য মানবাধিকার কমিশনকে পুরো বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত তাদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছি আমরা। আশা করছি দ্রুত কমিশন বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement