পিংলার গ্রামে ডায়েরিয়ায় মৃত্যু

ডায়েরিয়ার প্রকোপ ছড়িয়েছে পিংলার জামনায়। এক যুবকের মৃত্যুও হয়েছে। আক্রান্ত ১২ জন। এঁদের সকলেই চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার সকালে বাবলু হাঁসদা (৩৮) নামে এক যুবকের মৃত্যুর পরই গ্রামে পৌঁছয় মেডিক্যাল টিম। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা নিজেও এলাকায় যান। স্থানীয়দের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। পরে গিরীশচন্দ্রবাবু বলেন, “উদ্বেগের কিছু নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৪ ০১:১৮
Share:

ডায়েরিয়ার প্রকোপ ছড়িয়েছে পিংলার জামনায়। এক যুবকের মৃত্যুও হয়েছে। আক্রান্ত ১২ জন। এঁদের সকলেই চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার সকালে বাবলু হাঁসদা (৩৮) নামে এক যুবকের মৃত্যুর পরই গ্রামে পৌঁছয় মেডিক্যাল টিম। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা নিজেও এলাকায় যান। স্থানীয়দের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। পরে গিরীশচন্দ্রবাবু বলেন, “উদ্বেগের কিছু নেই। এলাকায় মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে।” স্বাস্থ্য দফতরের অনুমান, পুকুরের দূষিত জলেই ডায়েরিয়া ছড়িয়েছে।

Advertisement

গত কয়েক দিন ধরে পশ্চিম মেদিনীপুরের কিছু এলাকায় ডায়েরিয়ার প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। সেই তালিকাতেই নতুন সংযোজন পিংলার জামনা। এই এলাকায় একটি বড় পুকুর রয়েছে। পুকুরের জল স্থানীয় বহু মানুষ ব্যবহার করেন। এই পুকুরের জল পরিস্রুত নয়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, যে ১২ জন ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৬ জন পিংলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ৩ জন ডেবরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি ৩ জন বাড়িতেই আছেন। সেখানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।

এ ক্ষেত্রে বিরোধীরা স্বাস্থ্য দফতরের উদাসীনতার অভিযোগ করেছেন। পিংলার বিজেপি নেতা গৌর ঘোড়ই বলেন, “আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি। যা যা পদক্ষেপ করা প্রয়োজন, স্বাস্থ্য দফতর তা করছে না।” অভিযোগ উড়িয়ে জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষের বক্তব্য, “স্বাস্থ্য দফতর সঠিক ভাবেই সমস্ত পদক্ষেপ করছে। জামনার ঘটনা নিয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথাও হয়েছে। দ্রুত এলাকায় মেডিক্যাল টিম গিয়েছে।”

Advertisement

জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান জানিয়েছেন, ডায়েরিয়া ঠেকাতে বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতা প্রচার চলছে। সাধারণত দূষিত জল থেকেই রোগ ছড়ায়। কোথাও পুকুরের জল দূষিত, কোথাও দূষণ নলকূপের জলে। রবীন্দ্রনাথবাবুর কথায়, “আমরা সচেতনতা প্রচার বলছি, সকলে যেন বিশুদ্ধ জল পান করেন। সকলে যেন শৌচাগার ব্যবহার করেন। অনেক এলাকায় শৌচাগার থাকলেও তা ব্যবহার করা হয় না।” জামনার ওই পুকুরের জলের নমুনাও পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্রবাবু। পাশাপাশি তিনি জানান, যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের ঠিকমতো চিকিৎসা হচ্ছে কি না, তা নজরে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের এলাকার বাড়ি বাড়ি পাঠানো হচ্ছে। আশপাশ এলাকায় ব্লিচিং ছড়ানো হচ্ছে। স্থানীয় গ্রামবাসীরা যাতে দূষিত জল ব্যবহার না করেন, সেই জন্য প্রচার চালানো হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন