ফের আন্ত্রিকের প্রকোপ চন্দ্রকোনায়, আক্রান্ত ৭০

আন্ত্রিকে আক্রান্ত হলেন প্রায় ৭০ জন। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে চন্দ্রকোনার মহেশপুর, মুড়াকাটা ও খানডাঙা গ্রামে আন্ত্রিকে একের পর এক লোক অসুস্থ হয়ে পড়েন। আক্রান্তদের মধ্যে ২০ জন চন্দ্রকোনা গ্রমীণ হাসপাতালে ভর্তি। চার জন ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকিদের গ্রামেই চিকিৎসা চলছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতেই এলাকায় একটি মেডিক্যাল ক্যাম্প খোলা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৫ ০০:২৩
Share:

চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি আক্রান্তেরা। — নিজস্ব চিত্র।

আন্ত্রিকে আক্রান্ত হলেন প্রায় ৭০ জন। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে চন্দ্রকোনার মহেশপুর, মুড়াকাটা ও খানডাঙা গ্রামে আন্ত্রিকে একের পর এক লোক অসুস্থ হয়ে পড়েন। আক্রান্তদের মধ্যে ২০ জন চন্দ্রকোনা গ্রমীণ হাসপাতালে ভর্তি। চার জন ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকিদের গ্রামেই চিকিৎসা চলছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতেই এলাকায় একটি মেডিক্যাল ক্যাম্প খোলা হয়েছে। শুক্রবার সকালে মেদিনীপুর থেকে একটি মেডিক্যাল টিম গিয়ে অসুস্থদের চিকিৎসা শুরু করেছেন। এ দিন সকালে গ্রামগুলিতে পরিদর্শনে যান পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “প্রাথমিক ভাবে অনুমান, পানীয় জল থেকেই দূষণ ছড়িয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।”
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই ওই এলাকায় একাধিক বাসিন্দা বমি করতে শুরু করেন। তাঁদের মধ্যে আন্ত্রিকের অন্য উপসর্গও দেখা যায়। আটজনকে রাতেই চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একজনের শারীরিক অবস্থা ক্রমে খারাপ হওয়ায় তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। রাতে গ্রামের আরও অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়লে এলাকায় যায় মেডিক্যাল টিম। শুক্রবার সকালেও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল থেকে আর একটি টিম এলাকায় পৌঁছয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে মহেশপুর গ্রামে ইদ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠান হয়। সংলগ্ন একাধিক গ্রামের অনেকেই ওই অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত ছিলেন। রাত হতেই ওই সব এলাকার অনেক লোক অসুস্থ হতে থাকেন। মহেশপুরের একটি পানীয় জলের নলকূপও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এলাকায় শতাধিক পানীয় জলের পাউচও বিলি করা হয়। বিলি করা হয় হ্যালোজেন ট্যাবলেটও। শুরু হয়েছ সচেতনতা মূলক প্রচারও। জল গরম করে তবেই পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কুয়ো ও পুকুরের জল যাতে কেউ ব্যবহার না করেন, সে বিষয়েও প্রচার চলছে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরার দাবি, “জেলা জুড়েই আশা কর্মী ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ও মাইকের মাধ্যমে প্রচার শুরু করেছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন