ফের এনসেফ্যালাইটিসে মৃত্যু দু’জনের

গত সাত দিনে এনসেফ্যালাইটিসের উপসর্গ নিয়ে ফের দু’জনের মৃত্যু হল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বাসিন্দা আসগর আলি(৫০)। খিঁচুনি জ্বর নিয়ে ১৮ অগস্ট তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। গত রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে মৃত্যু হয় ২৭ বছরের যুবক রঞ্জিত দেবনাথের। তাঁর বাড়ি জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:৪৩
Share:

গত সাত দিনে এনসেফ্যালাইটিসের উপসর্গ নিয়ে ফের দু’জনের মৃত্যু হল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বাসিন্দা আসগর আলি(৫০)। খিঁচুনি জ্বর নিয়ে ১৮ অগস্ট তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

Advertisement

গত রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে মৃত্যু হয় ২৭ বছরের যুবক রঞ্জিত দেবনাথের। তাঁর বাড়ি জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরে। ১৩ জুলাই খিঁচুনি জ্বর নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সিসিইউ’তে রেখে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। দুই মাস ধরে চিকিৎসা চালিয়েও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মৃত দুই ব্যক্তিই অ্যাকিউট এনসেফ্যালাইটিস সিনড্রোম নিয়ে ভর্তি ছিলেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে।

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এনসেফ্যালাটিসের উপসর্গ নিয়ে বর্তমানে সাত জন ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত চার জন জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। রোগের প্রকোপ কমলেও মৃত্যু বন্ধ হয়নি। গত জানুয়ারি থেকে এ দিন পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এনসেফ্যালাইটিসের উপসর্গ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬০ জন। তার মধ্যে জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ জন। এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

Advertisement

বিশেষ করে অল্প বৃষ্টির পরেই দিনের বেলায় চড়া রোদ। মশার বংশবিস্তারের পক্ষে এই পরিবেশ অত্যন্ত সহায়ক বলে জানিয়েছেন তাঁরা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সুপার সব্যসাচী দাস বলেন, “রোগের প্রকোপ অনেক কমে গিয়েছে। কয়েকজন মাত্র রোগী রয়েছেন। তাঁরা অধিকাংশই পুরনো রোগী।”

তবে হাসপাতাল চত্বরে নানা জায়গায় ডোবার আকারে বড় গর্ত করে চিকিৎসা বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। চিকিৎসা বর্জ্য সরিয়ে দিয়ে সেগুলি ভরাট না হওয়া পর্যন্ত মাটি চাপা দেওয়া হচ্ছে না। বর্ষায় ওই সব আবর্জনার মধ্যে জল জমে থেকে মশা জন্মানোর উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হচ্ছে বলে স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসকদের একাংশ অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। যেখানে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে তা দ্রুততার সঙ্গে মাটি চাপা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তা ছাড়া হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলিতে রোগীদের জন্য পানীয় জলের সুব্যবস্থা এখনও গড়ে ওঠেনি বলেও অভিযোগ।

চিকিৎসার ত্রুটিতে দু’জনের মৃত্যু, নালিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান

চিকিৎসায় গাফিলতিতে একই পরিবারের দুই বালক-বালিকার মৃত্যুর অভিযোগ উঠল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বর্ধমানের তালিতের বাসিন্দা তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া মুসকান রাউত (৮) ও ভাই দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া রাজীব রাউত (৬) শুক্রবার ফাস্ট ফুড খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের ভোর পাঁচটা নাগাদ বর্ধমানে ভর্তি করা হয়। ভর্তির এক ঘন্টার মধ্যেই মারা যায় রাজীব। তারপর শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ মুসকানেরও মৃত্যু হয়। এ দিন ছেলে-মেয়ের ডেথ সার্টিফিকেট হাতে পেলে ওই বালক-বালিকার বাবা অশোক রাউত দেখেন, মৃত্যুর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে মেয়ে সাপের কামড়ে এবং ছেলে অজ্ঞাত বিষের প্রভাবে মারা গিয়েছে। এরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ করেন অশোকবাবু। হাসপাতালের ডোপুটি সুপার তাপস ঘোষ বলেন, “অভিযোগ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন