বধূর মৃত্যু এ ই এসে

এনসেফ্যালাইটিসের মারণ থাবা এ বার পুরুলিয়াতেও। এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে রবিবার রাতে রঘুনাথপুর ২ ব্লকের ডুমুরকোলা গ্রামের বাসিন্দা রিনা বাউরি (২৬) নামে এক বধূর মৃত্যু হয়েছে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানকার সুপার পঞ্চানন কুণ্ডু সোমবার বলেন, “ওই বধূ অ্যাকিউট এনসেফ্যলাইটিসে সিনড্রোমে (এ ই এস) আক্রান্ত হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। রক্ত পরীক্ষায় ওই রোগের জীবাণু মিলেছিল। রবিবার রাতে তিনি মারা যান।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথপুর ও বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:০৩
Share:

এনসেফ্যালাইটিসের মারণ থাবা এ বার পুরুলিয়াতেও। এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে রবিবার রাতে রঘুনাথপুর ২ ব্লকের ডুমুরকোলা গ্রামের বাসিন্দা রিনা বাউরি (২৬) নামে এক বধূর মৃত্যু হয়েছে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানকার সুপার পঞ্চানন কুণ্ডু সোমবার বলেন, “ওই বধূ অ্যাকিউট এনসেফ্যলাইটিসে সিনড্রোমে (এ ই এস) আক্রান্ত হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। রক্ত পরীক্ষায় ওই রোগের জীবাণু মিলেছিল। রবিবার রাতে তিনি মারা যান।” জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেই জানা যাচ্ছে, পুরুলিয়ায় এর আগে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও এনসেফ্যালাইটিসে মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম। পুরুলিয়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, “অ্যাকিউট এনসেফ্যালাইটিস সিনড্রোমে জেলায় এই প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ফলে, আমরা গুরুত্ব দিয়েই বিষয়টি দেখছি। ওই ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিককে গ্রামে পাঠানো হয়েছে। আপাতত মশা মারার স্প্রে করা হবে গ্রামে। স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ দল গ্রামে পাঠিয়ে সাতদিন ধরে ধরে আক্রান্তদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করা হবে।”

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় দিনমজুর ভবানী বাউরির স্ত্রী রিনাদেবী এক মাস আগেই সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। মৃত্যুর কয়েক দিন আগে থেকে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথমে তাণর পরিবারের লোকেরা রিনাদেবীকে নিয়ে যান রঘুনাথপুর মহকুমা হাসপাতালে। ওই হাসপাতালের সুপার শান্তনু সাহু জানান, জ্বরের সঙ্গে খিঁচুনি ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ে ওই বধূ হাসপাতালে এসেছিলেন। উপসর্গ দেখার পরে চিকিৎসকরা এনসেফ্যালাইটিস হয়েছে সন্দেহ করেছিলেন। কিন্তু, এখানে ওই রোগ নির্ণয়ের কিট না থাকায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন