ম্যালিগনান্ট ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ার। ওই পরিবারেরই অপর এক যুবকের জ্বরে মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকদের অনুমান, ম্যালেরিয়া থেকে তাঁরও মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। মৃতদের নাম অজিত প্রধান (৪২) ও শান্তিলতা প্রধান (৬৫)। এগরা-১ ব্লকের চিরুলিয়া গ্রামের ঘটনা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিলতাদেবী এগরা-১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি রেখা প্রধানের মা। অজিতবাবুও সম্পর্কে রেখাদেবীর দাদা। গত এক সপ্তাহ ধরে জ্বরে ভুগছিলেন অজিতবাবু। স্থানীয় চিকিৎসকের কাছেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। রবিবার বিকেলে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে পানিপারুল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেই তাঁর মৃত্যু হয়। পানিপারুল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক স্বদেশ জানা বলেন, “অজিতবাবুর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা নেই। অনুমান, ম্যানেনজাইটিস অথবা ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।”
কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন শান্তিলতাদেবীও। পরবিবার শরীর ক্রমশ খারাপ হতে থাকায় তাঁকে এগরার এক নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই রক্ত পরীক্ষা করায় শান্তিলতাদেবীর ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়া ধরা পড়ে। রবিবার রাত ১২টা নাগাদ শান্তিলতাদেবীকে কলকাতার পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার সকালে পিজি হাসপাতালেই শান্তিলতাদেবীর মৃত্যু হয়। শান্তিলতাদেবীর আত্মীয় ইন্দুভূষণবাবু বলেন, “মৃত্যুর কারণ হিসেবে ম্যালেরিয়ার কথাই বলা হয়েছে।” জ্বরে ভুগছেন রেখাদেবীর বউমা সংযুক্তা প্রধানও।
একই পরিবারের এতজনের জ্বরের ঘটনায় তৎপর প্রশাসনও। এগরা-১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিন্দিতা ঝা বলেন, “খবর পেয়ে ওই এলাকায় ছয় সদস্যের মেডিক্যাল টিম পাঠিয়েছিলাম। স্থানীয় ৪৫ জনের রক্ত পরীক্ষাও করা হয়েছে। কিন্তু কোনও অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি।” জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
চক্ষুপরীক্ষা শিবির
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁকসা
সম্প্রতি কাঁকসার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে চক্ষুপরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হয়। প্রায় দু’শো জনের চোখ পরীক্ষা করা হয়। ছিলেন বর্ধমানের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিত্সকেরা। উদ্যোক্তাদের তরফে অরুণাভ দত্ত জানান, যাঁরা চোখ পরীক্ষা করিয়েছেন তাঁদের মধ্যে ২০ জনের অস্ত্রোপচার করানো হবে। এ ছাড়া কয়েক জনকে চশমা দেওয়া হবে।