রোগ সারবে কী ভাবে, উত্তর মেলায়

শীতের রোদে কেউ এসেছেন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে, কেউ চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিতে। কেউ বা আবার শুধুই উত্‌সাহের বশে ভিড় জমিয়েছেন মাঠে। দুর্গাপুরে রাজেন্দ্রপ্রসাদ রোডের জগন্নাথ মন্দির লাগোয়া মাঠে শনিবার থেকে দু’দিনের স্বাস্থ্যমেলা জমল বেশ। শহরের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে আয়োজিত এই মেলার সহায়তায় ছিল বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল, প্যাথোলজিক্যাল সেন্টার ও বিমা সংস্থা। দুর্গাপুরে এই প্রথম স্বাস্থ্যমেলার হল বলে দাবি উদ্যোক্তাদের। মেলায় বিভিন্ন বিমা সংস্থা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মোট ২২টি স্টল ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:১৯
Share:

মেলার আগে শোভাযাত্রা।—নিজস্ব চিত্র।

শীতের রোদে কেউ এসেছেন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে, কেউ চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিতে। কেউ বা আবার শুধুই উত্‌সাহের বশে ভিড় জমিয়েছেন মাঠে। দুর্গাপুরে রাজেন্দ্রপ্রসাদ রোডের জগন্নাথ মন্দির লাগোয়া মাঠে শনিবার থেকে দু’দিনের স্বাস্থ্যমেলা জমল বেশ।

Advertisement

শহরের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে আয়োজিত এই মেলার সহায়তায় ছিল বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল, প্যাথোলজিক্যাল সেন্টার ও বিমা সংস্থা। দুর্গাপুরে এই প্রথম স্বাস্থ্যমেলার হল বলে দাবি উদ্যোক্তাদের। মেলায় বিভিন্ন বিমা সংস্থা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মোট ২২টি স্টল ছিল। আয়োজকেরা জানান, ১০টি শিবিরে প্রায় আড়াই হাজার মানুষের স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি উত্তম মুন্সি জানান, কলকাতার কয়েকটি হাসপাতালও স্টল দিয়েছিল। ইসিজি, নিউরো, অর্থপেডিক-সহ বিভিন্ন পরীক্ষা করানো হয়। দীর্ঘমেয়াদি চিকিত্‌সা দরকার হলে হাসপাতালগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে। উদ্যোক্তারা জানান, ৬ মাসের মধ্যে কোনও রোগী যদি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, বিশেষ ছাড় মিলবে।

মেলায় একটি মঞ্চে সারাদিন আঁকা, প্রশ্নোত্তর ইত্যাদি প্রতিযোগিতা হয়। হঠাত্‌ এমন মেলা কেন? সংগঠনের সদস্য ইন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, মৈত্রেয়ী দত্ত, সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়েরা জানান, তাঁদের সংগঠন গত বছর তৈরি হয়েছে। শনিবার শোভাযাত্রা করে মেলা শুরু হয়। আশপাশে কয়েকটি বস্তি রয়েছে। সেখানকার মানুষকে মেলায় আসতে অনুরোধ করা হয়। স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর ফাঁকে সৌমেন রুইদাস, হারু বাউড়িরা বলেন, “বাড়ির সকলকে নিয়ে এসেছি। ডাক্তারদের পরামর্শ পাচ্ছি।” একটি ‘টক শো’ আয়োজিত হয়। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিত্‌সক ফোন বা ভিডিও কনফারেন্সে নানা প্রশ্নের উত্তর দেন। এই শহরে দূষণে যে সব রোগ হয়, তা থেকে কী ভাবে রেহাই মিলবে, সে প্রশ্ন ওঠে। রাজেন্দ্রপ্রসাদ রোডের বাসিন্দা সুরভি ভট্টাচার্য বলেন, “এই সুযোগ দেওয়ার জন্য উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ।” নিউরো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আলম বলেন, “যোগ দিতে পেরে ভাল লাগছে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন