‘রেফার’ ঠেকাতে নয়া বিভাগ এ বার ঘাটালেও

এসএনসিইউ(সিক নিওনেট্যাল কেয়ার ইউনিট)-এর পর এ বার ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে চালু হতে চলেছে এইচডিইউ(হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) বিভাগ। এক কথায়, গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জন্য নির্মিত অত্যাধুনিক বিশেষ ওয়ার্ড।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৫ ০০:১২
Share:

ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের এইচডিইউ। — নিজস্ব চিত্র।

এসএনসিইউ(সিক নিওনেট্যাল কেয়ার ইউনিট)-এর পর এ বার ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে চালু হতে চলেছে এইচডিইউ(হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) বিভাগ। এক কথায়, গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জন্য নির্মিত অত্যাধুনিক বিশেষ ওয়ার্ড। আজ, ২৩ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী নদিয়া থেকে রিমোট কন্ট্রোলে এই বিভাগ উদ্বোধন করবেন। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ছয় শয্যার এই বিভাগ মার্চের মধ্যেই বেড়ে হবে দশ শয্যার। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে আলাদা পাঁচ জন চিকিৎসক ও নার্স এবং ৬ জন কর্মী নিয়োগ হয়ে গিয়েছে। এই বিভাগ চালু হলে এ বার কোনও সঙ্কটজনক রোগীকে রেফার করতে হবে না। ঘাটাল শহরেই তার চিকিৎসা হবে।’’

Advertisement

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, দিন দিন জেলার মহকুমা স্তরের হাসপাতালে চাপ বাড়ছে। সঙ্গে জেলার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চাপ তো রয়েছেই। কোনও রোগী সঙ্কটজনক অবস্থায় এলে রাতবিরেতে রোগীদের রেফার করা ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। কয়েক মাস আগে জেলার ঝাড়গ্রাম মহকুমা হাসপাতাল ও মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সিসিইউ (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট) বিভাগ চালু হয়েছে। ঝাড়গ্রামে দশটি এবং মেদিনীপুরে ছ’টি শয্যা রয়েছে। দ্রুত মেদিনীপুর মেডিক্যালে শয্যা বেড়ে হবে ২৪টি। এই পরিস্থিতিতে রেফার কমবে বলেই আশাবাদী চিকিৎসকরা। বছর খানেক আগে ঝাড়গ্রাম-সহ ঘাটালেও চালু হয়েছে এসএনসিইউ। এখানে সদ্যোজাতদের চিকিৎসার সুযোগ রয়েছে। ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের সুপার কুনাল মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘এসএনসিইউ বিভাগ চালুর পর আগের থেকে রেফারের সংখ্যা অনেক কমেছে। এইচডিইউ বিভাগ চালু হলে সেই সংখ্যা আরও কমবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন