রামপুরহাট হাসপাতালে গঠিত হল নতুন কমিটি

পরিষেবা নিয়ে প্রায়ই ক্ষোভ-বিক্ষোভ হয় রামপুরহাট জেলা হাসপাতালে। এই হাসপাতালের নানান অব্যবস্থা নিয়ে দীর্ঘ ছ’মাস ধরে কোনও আলোচনাই হয়নি রোগীকল্যাণ সমিতিতে। বলা ভাল এত দিন ধরে ওই সমিতি কোনও বৈঠক করেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৪ ০১:৫৮
Share:

পরিষেবা নিয়ে প্রায়ই ক্ষোভ-বিক্ষোভ হয় রামপুরহাট জেলা হাসপাতালে। এই হাসপাতালের নানান অব্যবস্থা নিয়ে দীর্ঘ ছ’মাস ধরে কোনও আলোচনাই হয়নি রোগীকল্যাণ সমিতিতে। বলা ভাল এত দিন ধরে ওই সমিতি কোনও বৈঠক করেনি। অবশেষে মঙ্গলবার পরিষেবার মানোন্নয়ন নিয়ে বৈঠকে বসল রোগীকল্যাণ সমিতি। শুধু তাই নয়, আরও উন্নত পরিষেবা কী ভাবে দেওয়া যায় তাই সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়।

Advertisement

হাসপাতাল সুপার হিমাদ্রি হালদার বলেন, “জেলা হাসপাতাল কাগজে কলমে লেখা হলেও এখনও মেডিক্যাল অফিসার নিয়োগের জন্য পদ নেই। জেলা হাসপাতালে অন্তত ৭০ জন মেডিক্যাল অফিসার দরকার। সেক্ষেত্রে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে অনুমোদিত ৪৪ জন মেডিক্যাল অফিসারের জায়গায় বর্তমানে ১৯ জন মেডিক্যাল অফিসার আছে। একই ভাবে নার্সিং স্টাফ থেকে হাসপাতালের অন্য কর্মীও যথেষ্ট প্রয়োজন। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই মহকুমা হাসপাতালের যে স্টাফ ছিল, তার থেকে দিনের পর দিন তা কমে যাচ্ছে।” তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে অস্থায়ী কর্মীদের দিয়ে রোগীকল্যাণ সমিতির মাধ্যমে হাসপাতালে পরিষেবা চালু রাখা আছে। অস্থায়ী কর্মীরা ১১ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। ওই সমস্ত অস্থায়ী কর্মীদের পারিশ্রমিক বাবদ ২৭,০০০ টাকা রোগীকল্যাণ সমিতি থেকে অনুমোদন করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, সাংসদ তহবিল থেকে পাওয়া সাড়ে সাত লক্ষ টাকায় কেনা জেনারেটর দু’বছরে কাজে লাগেনি। অবিলম্বে ওই জেনারেটর ব্যবহার করার জন্য মঙ্গলবার রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠকে হাসপাতাল সুপারকে নির্দেশ দিলেন বিধায়ক তথা রোগীকল্যাণ সমিতির সদস্য আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সুস্মিত ভট্টাচার্য জানান, রামপুরহাট মহকুমাশাসক, পূর্ত এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারি বাস্তুকার-সহ হাসপাতালে পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Advertisement

আশিসবাবু বলেন, “হাসপাতালের ভিতর দালাল রাজ ঠেকাতে সুপার থেকে চিকিৎসক, নার্স, কর্মী বিশেষ করে নিরাপত্তা কর্মীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। রামপুরহাট থানার পুলিশকেও দিনে এবং রাতে দু’বার করে হাসপাতালে নজরদারি বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে।” রামপুরহাট মহকুমাশাসক রত্নেশ্বর রায় বলেন, “চিকিৎসক, নার্স, চতুর্থ শ্রেণির কর্মী সঙ্কটের বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হবে। রোগীকল্যাণ সমিতির মাধ্যমে পরিষেবার উন্নতির চেষ্টাও করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন