শিক্ষক-কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা

শিক্ষক থেকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী-সকলের জন্য স্বাস্থ্য বিমা চালু করল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে প্রথমে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই বিমা চালু করেছিল। সেই হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব স্তরের কর্মীদের জন্য গ্রুপ স্বাস্থ্য বিমা চালুর প্রেক্ষিতে দ্বিতীয় স্থানে রইল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়।

Advertisement

অভিজিৎ চক্রবর্তী

ঘাটাল শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৪ ০২:৫৬
Share:

শিক্ষক থেকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী-সকলের জন্য স্বাস্থ্য বিমা চালু করল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে প্রথমে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই বিমা চালু করেছিল। সেই হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব স্তরের কর্মীদের জন্য গ্রুপ স্বাস্থ্য বিমা চালুর প্রেক্ষিতে দ্বিতীয় স্থানে রইল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। যদিও এর জন্য সংশ্লিষ্ট বিমা সংস্থাকে বিমার অঙ্ক অনুযায়ী প্রয়োজনীয় টাকা ইচ্ছুক কর্মীদেরই দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, “বহু দিন ধরেই আমরা চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু নানা কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্তরের কর্মীদের গ্রুপ মেডিক্লেম চালু করা যাচ্ছিল না। সম্প্রতি একটি বিমা সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। কাজও শুরু হয়েছে।”

Advertisement

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ২০০৯ সাল থেকেই গ্রুপ স্বাস্থ্য বিমা চালু করার বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কখনও কর্মীদের আগ্রহের অভাব, কখনও বা নানা আইনি জটিলতায় এই বিমা চালু করা যাচ্ছিল না। সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা শিক্ষক থেকে সমস্ত স্তরের কর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন। একাধিক বৈঠকের পর স্বাস্থ্য বিমা চালুর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে এককালীন এক লক্ষ টাকা থেকে তিন লক্ষ টাকাএই তিনটি পর্যায়ে বিমাটি চালু করা হয়েছে। জাতীয় স্তরের একটি বিমা কোম্পানির সঙ্গে এই বিষয়ে চুক্তিও করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জয়ন্ত কিশোর নন্দী বলেন, “কোনও কর্মী এক লক্ষ টাকা আবার কেউ বা দুই-তিন লক্ষ টাকার বিমা করছেন। এর জন্য বছরে বিমার অঙ্ক অনুযায়ী সর্বনিম্ন আড়াই হাজার এবং সর্বাধিক ৬ হাজার টাকা বছরে সংশ্লিষ্ট বিমা সংস্থাটিকে দিতে হবে। টাকা দেওয়ার পরই গ্রাহকরা একটি কার্ড পাবেন এবং ওই দিন থেকেই চালু হয়ে যাবে এই সুবিধা।” বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, কর্মীদের পরিবারের সদস্য ছাড়াও তাঁদের বাবা ও মায়েরাও এই সুবিধা পাবেন। যে কোনও রকম জটিল রোগ বা দুর্ঘটনায় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হলে সংশ্লিষ্ট কর্মী ওই কার্ড দেখালেই বিমা সংস্থা তাঁর খরচ বহন করবে। এমনকী টাকা না দিয়েও যে কোনও সময় ওই কার্ড দেখিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এক কথায় এই স্বাস্থ্য বিমার দৌলতে চিকিৎসার খরচের ক্ষেত্রে অনেকটাই নিরাপদে থাকতে পারবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্তরের কর্মীরা।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জয়ন্তকিশোর নন্দী বলেন, “এই সুযোগ কেবল স্থায়ী কর্মীরাই পাবেন। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১২ জন কর্মী এই বিমার ফর্ম ফিল আপ করেছেন। অনেকে টাকাও জমা দিতে শুরু করেছেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন