শুয়োরের দেহ থেকে নমুনা পরীক্ষায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত

কলকাতায় শুয়োর ধরার অভিযান জোরকদমে শুরু হয়ে গেলেও দুর্গাপুরে আপাতত তা হচ্ছে না। সোমবার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি দফতর, পুরসভা, পুলিশের সঙ্গে বৈঠকের পরে দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক কস্তুরী সেনগুপ্ত জানান, বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হবে। তবে এখনই শুয়োর ধরার অভিযানে নামা হবে না। শুয়োরের দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করার পরে সন্দেহজনক কিছু মিললে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান মহকুমাশাসক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৪ ০৩:০৩
Share:

দুর্গাপুরে ডিভিসি মোড় এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে শুয়োর। —নিজস্ব চিত্র।

কলকাতায় শুয়োর ধরার অভিযান জোরকদমে শুরু হয়ে গেলেও দুর্গাপুরে আপাতত তা হচ্ছে না। সোমবার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি দফতর, পুরসভা, পুলিশের সঙ্গে বৈঠকের পরে দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক কস্তুরী সেনগুপ্ত জানান, বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হবে। তবে এখনই শুয়োর ধরার অভিযানে নামা হবে না। শুয়োরের দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করার পরে সন্দেহজনক কিছু মিললে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান মহকুমাশাসক।

Advertisement

দক্ষিণবঙ্গে এখনও সে ভাবে এনসেফ্যালাইটিসের সংক্রমণ ধরা পড়েনি। তবু এ দিন দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কী কী করা যায়, তা স্থির করতে মহকুমার ব্লকগুলি থেকে বিডিও, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক, মহকুমা হাসপাতাল, জনস্বাস্থ্য করিগরি দফতর, পুরসভা, পুলিশ-সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন। ঠিক হয়, মশা নির্মূল করতে নর্দমা, জঙ্গল সাফ করা, ব্লিচিং পাউডার স্প্রে করা, জল জমতে না দেওয়া প্রভৃতির উপরে জোর দেওয়া হবে। এর সঙ্গে মানুষকে সচেতন করতে লিফলেট বিলি, ফ্লেক্স টাঙানো, ট্যাবলো বের করার মতো পদক্ষেপও করা হবে। পাশাপাশি, এনসেফ্যালাইটিসের লক্ষণ নিয়ে কেউ গ্রামীণ এলাকায় ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হলে দ্রুত তাঁকে মহকুমা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। মহকুমা হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন সেই রিপোর্ট পাঠানো হবে প্রশাসনের কাছে। তবে কলকাতার মতো এখনই শুয়োর ধরার কোনও পরিকল্পনা এ দিনের বৈঠকে চূড়ান্ত হয়নি বলে মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

আর পাঁচটা এলাকার মতো দুর্গাপুর শহরেও বিভিন্ন জায়গায় শুয়োর ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। অনেকে বাড়িতে শুয়োর পোষেনও। তবে তা সংখ্যায় খুব বেশি নয়। ডিভিসি মোড় এলাকায় জাতীয় সড়কের আশপাশে মাঝে-মাঝে শুয়োর নজরে আসে। খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, সেখানে বেশ কয়েকটি পরিবার বাড়িতে শুয়োর প্রতিপালন করে থাকে। এ দিনও সেই এলাকায় বেশ কিছু শুয়োর ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। এনসেফ্যালাইটিস ছড়ানোর ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পরেই কলকাতায় শুয়োর ধরার অভিযান শুরু হয়েছে। দুর্গাপুরেও তেমন কোনও অভিযান হতে পারে ভেবে শঙ্কিত পরিবারগুলি। তবে এ দিন মহকুমাশাসক বলেন, “শুয়োরের নমুনা সংগ্রহ করে তা পাঠানো হবে পরীক্ষার জন্য। যদি সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়, তখন এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করা হবে।” মহকুমাশাসক আরও জানান, যদি সংক্রমণ ধরা পড়ে সেক্ষেত্রে বাইরে থেকে শুয়োর আমদানি রুখতেও প্রহরার ব্যবস্থা করা হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement