স্বাস্থ্য বেসরকারি উদ্যোগ স্বাগত, সুব্রত

বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ গড়া হলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে বলে জানালেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরী মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। রবিবার কাঁকসায় একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের শিলান্যাস করতে এসে তিনি বলেন, “রাজ্যে চিকিত্‌সকের অভাবের জন্য বহু সরকারি স্বাস্থ্য উদ্যোগ থমকে যাচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৪ ০১:৩০
Share:

অনুষ্ঠানে পঞ্চায়েত মন্ত্রী।—নিজস্ব চিত্র।

বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ গড়া হলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে বলে জানালেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরী মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। রবিবার কাঁকসায় একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের শিলান্যাস করতে এসে তিনি বলেন, “রাজ্যে চিকিত্‌সকের অভাবের জন্য বহু সরকারি স্বাস্থ্য উদ্যোগ থমকে যাচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগে মেডিক্যাল কলেজ গড়া হলে সমস্যার অনেকটাই উন্নতি হবে।”

Advertisement

এ দিন শিলান্যাস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুব্রতবাবু বলেন, “এক সময় বিদেশেও আমাদের এখান থেকে চিকিত্‌সকরা যেতেন। অথচ আজ আমাদের এখানেই পর্যাপ্ত চিকিত্‌সক নেই।” তিনি জানান, রাজ্য সরকার চাইলেও চিকিত্‌সকরা গ্রামে যেতে চান না। পর্যাপ্ত চিকিত্‌সক না থাকাই এর কারণ। কিন্তু নতুন নতুন মেডিক্যাল কলেজ গড়া হলে এই সমস্যা মিটে যাবে। তিনি বলেন, “অন্যান্য রাজ্যে বহু বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ গড়ে উঠেছে। অথচ আমাদের রাজ্যে এমন মেডিক্যাল কলেজ মাত্র একটি। নতুন নতুন মেডিক্যাল কলেজ গড়ে উঠলে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ বাড়বে। পর্যাপ্ত সংখ্যায় চিকিত্‌সক পাওয়া গেলে, তখন চিকিত্‌সকরা গ্রামে যাবেন। সরকারি বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রকল্প রূপায়নেও সুবিধা হবে।”

দুর্গাপুরে ইতিমধ্যেই একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ গড়ে উঠেছে। কিন্তু ‘মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া’র অনুমোদন না পাওয়ায় সেখানে ছাত্র ভর্তির সুযোগ নেই। পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকার এই অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকলে অনুমোদন মিলবে না। সরকারি, বেসরকারি- সব ক্ষেত্রেই এটা সমস্যা। সমাধান একটাই, নির্দিষ্ট পরিকাঠামো গড়ে ফেলা। আশা করি সে ব্যাপারে উদ্যোগী হবেন কর্তৃপক্ষ।” মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে আরও জানান, নতুন মেডিক্যাল কলেজ মানেই নতুন হাসপাতাল। কাজেই স্থানীয় মানুষজন এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ পাবেন। তিনি বলেন, “বড় বড় হাসপাতালে গিয়ে শয্যা মেলে না। এই ধরণের নতুন নতুন হাসপাতালগুলি চালু করা গেলে সেই সমস্যা মিটবে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন