স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঘেরাও ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীরা

স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে মাঝে মাঝেই ওষুধ মেলে না, চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা সময়মতো হাজির হন না স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, এমনকী মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধও দেওয়া হয়েছে এক রোগীকে এমনই একাধিক অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার রানিবাঁধ ব্লকের হলুদকানালি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক-সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানিবাঁধ শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৪ ০২:১৭
Share:

স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে মাঝে মাঝেই ওষুধ মেলে না, চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা সময়মতো হাজির হন না স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, এমনকী মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধও দেওয়া হয়েছে এক রোগীকে এমনই একাধিক অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার রানিবাঁধ ব্লকের হলুদকানালি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক-সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। খবর পেয়ে রানিবাঁধ থানার পুলিশ ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যায়। পরে অবশ্য মেডিক্যাল অফিসারের আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভ ওঠে। ঘেরাও মুক্ত হন স্বাস্থ্যকর্মীরা।

Advertisement

হলুদকানালি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করাতে আসেন আশপাশের মোলচাঁড়র, তুং চাঁড়র, হাকিমসিনান, কালাপাথর, ধ’ডাঙা, কেশিয়া, হলুদকানালি সহ-রানিবাঁধ ও রাইপুরের ব্লকের বহু গ্রামের মানুষ। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রয়েছেন এক জন করে চিকিৎসক, নার্স, ফার্মাসিস্ট ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। বাঁকুড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আউটডোরে প্রতিদিন গড়ে ১০০ জন রোগী আসেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র সপ্তাহে ছ’দিন খোলা থাকলেও সময়মতো চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আসেন না। কেলেপাথর গ্রামের গৌরাঙ্গ পালের অভিযোগ, “বুধবার আমি তিন বছরের অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে এসেছিলাম। আমাকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়া হয়। পরে অবশ্য জানতে পেরে সেটি আমার কাছ থেকে ফেরত নেওয়া হয়।” স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন মাহাতো, পরেশ টুডুর অভিযোগ, “আউটডোর ঘণ্টা তিনেকের জন্য খোলা থাকে। তবে, নিয়মিত ডাক্তার, নার্স থাকেন না। মাঝেমধ্যেই সামান্য জ্বর, সর্দির ওষুধও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ‘নেই’ বলে দেন কর্মীরা।”

এ দিনের বিক্ষোভে সামিল বাসিন্দাদের একাংশ জানান, বহুবার বলেও কোনও লাভ না হওয়ায় চিকিৎসক-সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের ঘেরাও করা হয়েছিল। এমন ঘটনা ভবিষ্যতে ঘটবে না বলে চিকিৎসক আশ্বাস দিয়েছেন। হলুদকানালি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একমাত্র চিকিৎসক তথা মেডিক্যাল অফিসার রামানন্দ মণ্ডল অবশ্য নিয়মিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সকলেই আসেন বলে দাবি করেছেন। তবে, মেয়াদ-উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, “তারিখ না দেখে ওই ওষুধ ভুল করে দেওয়া হয়েছিল। সেটি নজরে আসার পরেই পাল্টে দেওয়া হয়েছে আমি এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সব কর্মীই নিয়মিত হাজির হয়, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গরহাজির থাকার অভিযোগ ঠিক নয়।

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন