স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ, সমস্যায় বাসিন্দারা

প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ পড়ে রয়েছে দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা ২ পঞ্চায়েতের স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় রাতে সেখানে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বেড়েছে। অসামাজিক কাজকর্ম বলেও অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দেগঙ্গা শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৫ ০০:৫১
Share:

পরিত্যক্ত ভবন। —নিজস্ব চিত্র।

প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ পড়ে রয়েছে দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা ২ পঞ্চায়েতের স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় রাতে সেখানে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বেড়েছে। অসামাজিক কাজকর্ম বলেও অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

Advertisement

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘দাতব্য চিকিৎসাকেন্দ্রগুলি জেলা পরিষদের অধীনে থাকায় কোনও তথ্য আমার জানা নেই।’’ জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ জ্যোতি চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এই জেলায় ১৯টি দাতব্য চিকিৎসালয় বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। মূলত ওই চিকিৎসালয়ে কর্মরত ডাক্তারের অবসর নিয়েছেন। এরপর নতুন ডাক্তারেরা জেলাপরিষদের নির্ধারিত বেতনে কাজ করতে রাজি হয়নি। ফলে নতুন করে আর ডাক্তার নিয়োগ করা যায়নি।’’ তিনি জানান, এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১১ জন কর্মীকে বেকার বসিয়ে না রেখে জেলা পরিষদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

১৯৯২ সালে তৎকালীন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাধিপতি নন্দদুলাল ভট্টাচার্য ও জেলাশাসক সঞ্জয় মিত্রের উপস্থিতিতে বামজমানায় এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি তৈরি হয়েছিল। এই চিকিৎসাকেন্দ্রের উপরে প্রায় কুড়ি হাজার মানুষ ভরসা করে থাকতেন। এলাকাবাসীরা জানান, সব সময়েই এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিষেবা মিলত। এই কেন্দ্রের নীচেই চিকিৎসকেরা তাঁদের পরিবার নিয়ে থাকতেন। কিন্তু এখন তা অতীত। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই কেন্দ্র বন্ধ থাকায় বেশি টাকা দিয়ে চেম্বারে গিয়ে ডাক্তার দেখাতে হয়। ২০১৪ সালের শেষের দিকে এটি বন্ধ হয়ে যায়।

Advertisement

জেলাপরিষদের প্রাক্তন সিপিএম সদস্য তারকেশ্বর চক্রবর্তী জানান, বেড়াচাঁপা মণ্ডল পরিবারের সহতায় চ্যারিটেবিল ডিসপেনসারি নির্মাণ করা হয়। এলাকার মানুষের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য কয়েকটি বেডের ব্যবস্থা করে মিনি হাসপাতাল গড়ে তোলারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সরকার পরিবর্তন হওয়ার পরে তা আর সম্ভব হয়নি। বর্তমান শাসকদল তা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ। বেড়াচাঁপা ২ পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান সন্দীপ ভট্টাচার্য বলেন, “আমি নিজে উদ্যোগী হয়ে চালু রাখার চেষ্টা করেছিলাম। তাতে বেশ কিছু দিন চালু এটি চালু ছিল। পরবর্তীতে ডাক্তার না আসায় সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।’’ স্থানীয় বাসিন্দা অশোক মণ্ডল, দুলাল বিশ্বাস, বিশ্বজিৎ পাল ও ফারুক আহমেদ বলেন, ‘‘ছোটখাটো দুর্ঘটনা, চিকিৎসা থেকে জ্বর, সর্দি ও কাশির ওষুধ মেলায় সকলের সুবিধা হতো। বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যা হয়। অবিলম্বে এই চিকিৎসালয়টি চালু করার আবেদন জানানো হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন