হাসপাতালে গরহাজির থাকা ও তার জেরে বর্হিবিভাগ বন্ধের অভিযোগ পেয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নির্দেশে বিএমওএইচ শো-কজ করলেন এক চিকিৎসক এবং নার্সকে। বৃহস্পতিবার রামপুরহাট ১ ব্লকের বৈধড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঘটনা।
গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, বর্হিবিভাগ বন্ধ থাকায় তাঁরা বিধায়ককে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগ পেয়েই বিধায়ক বিষয়টি স্বাস্থ্য ভবনে জানান। রামপুরহাট ১ ব্লকের ব্লক মেডিক্যাল আধিকারিক সুমন্ত মণ্ডল বলেন, “বুধবার বৈধড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বর্হিবিভাগ খোলা ছিল না। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক এবং নার্সকে শো-কজ করা হয়েছে।” এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, চিকিৎসক এবং নার্স রাস্তা খারাপের জন্য হাসপাতালে না গিয়ে দেড় কিমি দূরে বৈধরা মোড়ে মঙ্গলবার রোগী দেখেছে। এর জন্য রোগীরা হাসপাতালের ওষুধ পায়নি।
এদিকে মঙ্গলবার এবং বুধবার এলাকার রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসককে না পেয়ে ঘুরে চলে যান। হাসপাতালের চিকিৎসক মহম্মদ শাহিদ আতিক বলেন, “হাসপাতাল যাওয়ার রাস্তা এত খারাপ জল কাদায় মোটর বাইক থেকে পড়ে গিয়েছিলাম। সেই কারণে হাসপাতালে না গিয়ে দেড় কিমি দূরে একটা জায়গায় বসে রোগী দেখেছিলাম। এবং রোগীদের কথা মতো ওষুধ লিখে দিয়েছি। সেই ওষুধ রোগীরা বাইরে থেকে কিনে নেওয়ার কথা বলেছিল।”
কিন্তু বহির্বিভাগ খোলা যায়নি কেন?
তাঁর দাবি, “বুধবার আয়াষ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডিউটি ছিল। সেখানে ডিউটিতে গিয়েছিলাম। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দু’জন নার্সের মধ্যে একজন এক মাস থেকে ছুটিতে আছেন। আর একজন বুধবার থেকে বিএমওএইচকে জানিয়ে, তিনদিনের জন্য ছুটি নিয়েছেন। সেই কারণে হাসপাতালের বর্হিবিভাগ খোলা যায়নি।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে মহকুমার বিএমওএইচদের নিয়ে রামপুরহাট মহকুমা অফিসে একটি বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে বিধায়ক তথা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দফতরের প্রতি মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় মহকুমাশাসকের সামনে বৈধড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঘটনার কথা বলেন।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কার্তিক মণ্ডল বলেন, “ওই চিকিৎসককে এনআরএইচএম থেকে চুক্তি ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে অন্য জায়গায় তুলে নেওয়া হবে। প্রথমে আইনী পদক্ষেপ হিসাবে চিকিৎসককে এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীকে শো-কজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিএমওএইচকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং শো-কজের প্রতিলিপি স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো হবে।”
বিএমওএইচ সুমন্ত মণ্ডল বলেন, “ওই চিকিৎসকের সঙ্গে আজ দুপুর এবং বিকালে যোগাযোগ করা যায়নি। শুক্রবার তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ওই দিনই হাতে হাতে শো-কজ লেটার ধরানো হবে।”
মিলল খোঁজ। হোম থেকে পলাতক পাঁচ কিশোরীর মধ্যে দু’জনের খোঁজ মিলল। খুসবু কুমারি ও মুন্নি আখতার তানিয়া নামে দুই কিশোরীকে আটক করে রাঁচি জিআরপি। পরে বর্ধমানে খবর পাঠায় তারা। মঙ্গলবার রাতে ওই দু’জন সহ মোট পাঁচটি মেয়ে বর্ধমানের একটি সরকারি হোম থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। জেলা পুলিশ সুুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “বাকিদের কিছুটা খোঁজও আমরা পেয়েছি। রাঁচি জিআরপিতে আটক ওই দু’জনকে আনতে আমাদের জেলা পুলিশের দল গিয়েছে। শুক্রবার দুপুরের মধ্যে ওদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আমাদের আশা”। পরিকল্পনা করেই ওই কিশোরীরা পালিয়েছিল বলে খবর।