হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স, রমরমিয়ে চলছে ব্যবসা

স্বাস্থ্যজেলার মূল হাসপাতালের সরকারি জমিতে দিনের পর দিন চলছে বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবসা। পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালে আসা রোগীদের ভুলিয়ে ভালিয়ে এই অ্যাম্বুল্যান্সে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছে এক শ্রেণির দালাল। এ বিষয়ে জেনেও প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দা এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:৪৫
Share:

স্বাস্থ্যজেলার মূল হাসপাতালের সরকারি জমিতে দিনের পর দিন চলছে বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবসা। পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালে আসা রোগীদের ভুলিয়ে ভালিয়ে এই অ্যাম্বুল্যান্সে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছে এক শ্রেণির দালাল। এ বিষয়ে জেনেও প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দা এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

Advertisement

জেলা হাসপাতালের সুপার ডাক্তার আনোয়ার হোসেন বলেন, “মা এবং শিশুদের জন্য ১২টি বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স হাসপাতালের ভিতরেই থাকার কথা। তার বাইরে যে অ্যাম্বুল্যান্সগুলি এখানে থাকে সেগুলিকে বহু বার আমি নিজে হাসপাতাল চত্বর থেকে বার করে দিয়েছি। তা সত্ত্বেও ওগুলি দাঁড়িয়ে থাকে।” হাসপাতালের ভিতরে দিন দিন বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্সের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আবার এই এলাকার নিউটাউন জুড়ে গড়ে উঠেছে নার্সিংহোম। সরকারি হাসপাতালে আসা রোগীদের মগজ ধোলাই করে নার্সিংহোমে পৌঁছতে পারলে মিলবে কমিশন। তাই দালালেরা সব সময় এ চত্বরে ঘোরাঘুরি করছে। অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, রোগী স্থানান্তর করে ৩-৫ শতাংশ কমিশন পাওয়া যায়। আবার কোথাও কোথাও রোগীদের অবস্থা বুঝে পয়সা। ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দেকান বা আউটডোরের গেট আটকেও দাঁড়িয়ে পড়ে অ্যাম্বুল্যান্স বলে অভিযোগ রোগীর পরিবারের। আর এই দালাল চক্রের কবলে পড়ে নার্সিংহোমে হাজার হাজার টাকা খরচা করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এ সমস্ত কাণ্ড দেখেও চুপচাপ প্রশাসন বলে অভিযোগ।

শাসকদলের মদতেই এই কাজ চলছে বলে অভিযোগ রোগীর পরিবারের। তাঁদের কথায়, “এই ব্যবসার কথা প্রশাসনের কাছে অজানা নয়। দিনের পর দিন সাধারণ মানুষ হাসপাতালে চিকিত্‌সা করাতে এসে ওই সমস্ত দালাল চক্রের খপ্পড়ে পড়ছে। নানা রকম বুঝিয়ে আমাদের হাসপাতাল থেকে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়।” মহকুমাশাসক শান্তনু বসু বলেন, “হাসপাতালের ভিতরে অ্যাম্বুল্যান্স দাঁড়ানোর অভিযোগ পেয়েছি। শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Advertisement

স্থানীয় বিধায়ক তথা রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান দীপক হালদার বলেন, “আমরা চাই না এ রকম কোনও চক্র হাসপাতালের ভিতরে থাকুক। রোগীকল্যাণ সমিতির পরবর্তী বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলব। আর অ্যাম্বুল্যান্সগুলিকে বহু বার সরানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু কিছুতেই এগুলি এখান থেকে সরছে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন