Biplab Kumar Deb

বাম জমানার অনিয়ম টেনে জবাব বিপ্লবের

ডিজিপি হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম অভিজ্ঞতার মেয়াদ ছিল ৩০ বছর। সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়ে ও শীর্ষ আদালতের রায়েই তা ২৫ বছর করছে রাজ্য সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আগরতলা শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২০ ০১:৪৬
Share:

—ফাইল চিত্র।

বাম জমানার বিভিন্ন অনিয়মের কথা তুলে ধরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে তাঁর চিঠির কড়া জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব। বিরোধী দলনেতা মানিকবাবু চিঠিতে অভিযোগ এনেছিলেন, ডিজিপির শূন্যপদ পূরণে প্রয়োজনীয় ন্যূনতম অভিজ্ঞতা ৩০ বছর থেকে কমিয়ে ২৫ বছর করে দিয়ে পুলিশের মনোবলে আঘাত করা হচ্ছে। প্রসিকিউশন ডিরেক্টরেট তুলে দেওয়া হচ্ছে, এমন খবরের উল্লেখ করে ভবিষ্যতে দোষীদের শাস্তি দানের হার কমে যাবে বলে আশঙ্কা জানিয়েছিলেন মানিকবাবু। ওই দফতর আদৌ তুলে দেওয়া হচ্ছে না বলে চিঠিতে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বরং বাম জমানায় ওই দফতর আদৌ তেমন সক্রিয় ছিল না এবং স্পেশাল অফিসার নিয়োগে সে আমলে অনেক অনিয়ম হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

ডিজিপি হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম অভিজ্ঞতার মেয়াদ ছিল ৩০ বছর। সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়ে ও শীর্ষ আদালতের রায়েই তা ২৫ বছর করছে রাজ্য সরকার। অথচ বাম আমলে নিয়ম ভেঙেই তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিপ্লবের। তিনি লিখেছেন, কাজের ২৫ বছর পূর্ণ হতেই এক জনকে ডিজিপি পদে বসানো হয়েছিল সে আমলে| বেআইনি ভাবে দু’বার ‘অ্যাডহক’ ভাবে পদোন্নতি ঘটিয়ে ডিজিপি করা হয়েছিল আর এক জনকে৷ অথচ তখন তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট জমা পড়েছিল৷ বিপ্লবের বক্তব্য, এই সব অনিয়মের ব্যাপারে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কোনও বক্তব্য বা আপত্তি নেই। অথচ সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে এখন যখন ডিজিপি নিয়োগের ব্যপারে সরকার এগোচ্ছে, তখন তার সমালোচনা করছেন তিনি। এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও দুর্ভাগ্যজনক৷

মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে পরিস্কার জানিয়েছেন, রাজ্যের প্রসিকিউশন ডিরেক্টরেট বন্ধ করে দেওয়ার কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি রাজ্য সরকার৷ এই ধরনের খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিমূলক৷ মুখ্যমন্ত্রী জবাবি চিঠিতে প্রসিকিউশন ডিরেক্টরেট নিয়ে বামফ্রন্ট সরকারের চরম উদাসীনতা এবং দায়িত্বহীনতার বর্ণনা দিয়ে লিখেছেন, ২০১০ থেকে ২০১৮ এর মার্চ পর্যন্ত শুধু বেতন খাতেই ৮৪ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে৷ অথচ যে উদ্দেশ্যে দফতরটি গঠন করা হয়েছিল তার সিকি ভাগ কাজও করেনি৷ দফতরটি নামকেওয়াস্তে চালু রয়েছে। এ ভাবে সেটি চালু রাখার কোনও যৌক্তিকতা দেখা যাচ্ছে না৷ এই অবস্থায় দফতরটিকে কী ভাবে আরও সচল করা যায়, সেই চিন্তাভাবনা চলছে৷ দফতরটিকে নির্দিষ্ট দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে৷ তাতে অপরাধীর শাস্তির হার বাড়ানো সম্ভব হবে৷ এসপিও নিয়োগের মাধ্যমে রাজ্যে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ হচ্ছে৷ তা ছাড়া পুলিশ ব্যবস্থারও অনেকটা উন্নতি হবে

Advertisement

বলে চিঠিতে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন