Coronavirus

মাস্ক ঝুলছে মুখে! কড়া পথ চায় কোর্ট

কোভিড রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা এবং হাসপাতালে মৃতদেহের প্রতি সম্মানজনক আচরণের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টিতেও জোর দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২০ ০৫:৩২
Share:

ছবি: এএফপি।

উৎসব চলছে, শোভাযাত্রা বেরোচ্ছে। সেখানে ৬০ শতাংশ লোকের মাস্কই নেই। ৩০ শতাংশের মাস্ক মুখের নীচে ঝুলছে।

Advertisement

এই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। একটি মামলার শুনানিতে বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি আর এস রেড্ডি এবং বিচারপতি এম আর শাহের বেঞ্চ আজ এই উদাহরণ দিয়ে বলেছে, দেশে করোনা পরিস্থিতি সামলানোর বহু নীতি, নির্দেশিকা ও আচরণবিধি থাকা সত্ত্বেও তা কার্যকর করার ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়ে যাচ্ছে। বিষয়টির প্রতিকারে কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপও করা হচ্ছে না। সর্বোচ্চ আদালত মনে করছে, ‘পরিস্থিতি খারাপ থেকে খুব খারাপ’ হয়েছে। রাজ্যগুলিকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। বিচারপতিরা বলেছেন, ‘‘কড়া পদক্ষেপ করার এটাই সময়। অন্যথায় কেন্দ্রীয় সরকারের চেষ্টা মাঠে মারা যাবে।’’

কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, সংক্রমণের ঢেউ আগের চেয়ে জোরালো বলে মনে হচ্ছে। রাজ্যগুলিকে কড়া হাতে আচরণবিধি ও নির্দেশিকা কার্যকর করতে হবে। এখন ‘আমি’ বনাম ‘ওরা’ মনোভাব নয়, ‘আমরা’ বলে ভাবা উচিত। এই সময়েই রাজ্যগুলিকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে ওঠার কথা বলেন বিচারপতিরা। কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশের প্রায় ৭৭% অ্যাক্টিভ কোভিড রোগীর ঠিকানা ১০টি রাজ্য। প্রথম চারে রয়েছে মহারাষ্ট্র (১৮.৯%), কেরল (১৪.৭%), দিল্লি (৮.৫%) এবং পশ্চিমবঙ্গ (৫.৭%)।

Advertisement

কোভিড রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা এবং হাসপাতালে মৃতদেহের প্রতি সম্মানজনক আচরণের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টিতেও জোর দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। গত কাল গভীর রাতে গুজরাতের রাজকোটের একটি কোভিড হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে পাঁচ জন রোগীর মৃত্যু হয়। আগামী মঙ্গলবার গুজরাত সরকারকে এই ঘটনার রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন বিচারপতিরা। তাঁদের মতে, এটি অত্যন্ত গুরুতর, স্তম্ভিত করার মতো ঘটনা। অন্যত্রও এমন ঘটনা ঘটছে এবং তাতে সরকারি হাসপাতালের অবস্থাটাই ফুটে উঠছে। অথচ রাজ্যগুলি তেমন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ১ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানি।

আরও পড়ুন: বিপদ এড়াতে ওয়াইফাই-বিধি বদল বিমানে

এ দিকে, ভারতে প্রতি বছর রাশিয়ার টিকা ‘স্পুটনিক ভি’-র ১০ কোটিরও বেশি ডোজ় তৈরি করার লক্ষ্যে হায়দরাবাদের আরও এক সংস্থা হেটেরো-র সঙ্গে হাত মিলিয়েছে রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (আরডিআইএফ)। ওই টিকা তৈরির বরাত আগেই পেয়েছে রেড্ডিজ় ল্যাবরেটরিজ়। এই মুহূর্তে দেশে রুশ টিকার টিকার দ্বিতীয়/তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে। আগামী বছরের গোড়াতেই দুই সংস্থা যৌথ উদ্যোগে স্পুটনিক ভি তৈরির কাজ শুরু করতে চায় বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: এক দেশ এক ভোট নিয়ে প্রশ্ন

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন