Ramesh Pokhriyal

সিলেবাস ছাঁটাই: রাজনীতির নালিশ

করোনার এই সময়ে দীর্ঘ দিন স্কুলের দরজা বন্ধ থাকার বিষয়টি মাথায় রেখে ৩০% পর্যন্ত পাঠ্যক্রম ছাঁটাইয়ের কথা জানিয়েছে সিবিএসই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২০ ০৬:৩১
Share:

ফাইল চিত্র।

গত কালই বিবৃতি জারি করেছিল সিবিএসই। একই সুরে আজ কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্কের দাবি, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে সিবিএসই-র সিলেবাস ছাঁটাই নিয়ে অযথা জল ঘোলা করছেন অনেকে। চেষ্টা করছেন অকারণ রাজনীতি করার। তাঁর কটাক্ষ, শিক্ষা নিয়ে রাজনীতি না-করে বরং রাজনীতিকে শিক্ষিত করার চেষ্টা স্বাগত।

Advertisement

করোনার এই সময়ে দীর্ঘ দিন স্কুলের দরজা বন্ধ থাকার বিষয়টি মাথায় রেখে ৩০% পর্যন্ত পাঠ্যক্রম ছাঁটাইয়ের কথা জানিয়েছে সিবিএসই। কিন্তু শুরু থেকেই এই বিষয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, নিজেদের মতাদর্শ চাপিয়ে দিতেই বেছে বেছে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর মতো বিষয়গুলি বাদ দেওয়া হয়েছে। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে বাদ গিয়েছে নোট বাতিল, জিএসটি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইট, “করোনা-সঙ্কটের সময়ে সিবিএসই-র পাঠ্যক্রম কমাতে গিয়ে নাগরিকত্ব, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, ধর্মনিরপেক্ষতা, দেশভাগের মতো বিষয় কেন্দ্র বাদ দিয়েছে জেনে স্তম্ভিত। আমরা এর ঘোর বিরোধিতা করছি। আর্জি জানাচ্ছি, কোনও মূল্যেই তা বাদ না-দিতে।” প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ’ব্রায়েন। টুইটে বিঁধেছিলেন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালাও।

এ দিন কারও নাম না-করে মন্ত্রীর ‘জবাব’, “কেউ কেউ কিছু না-জেনে, অল্প কয়েকজন মিথ্যে প্রচার ও অযথা উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য টুইট করছেন। আমার বিনীত অনুরোধ, দয়া করে শিক্ষায় অন্তত রাজনীতি করবেন না। বরং রাজনীতিকে আরও শিক্ষিত করার জন্য এগিয়ে এলে অভিনন্দন জানাব।” একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এই ‘বাদ পড়া’ শুধু ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের জন্য। তা-ও করা হয়েছে পড়ুয়াদের ঘাড় থেকে পড়ার বোঝা কমাতে। তা ছাড়া, এই সমস্ত বিষয়কে পরীক্ষার আওতার বাইরে রাখলেও, ক্লাসে সেগুলি পড়ানো কিংবা আলোচনায় বাধা নেই। বরং এর উল্লেখ রয়েছে এনসিইআরটি-র তৈরি বিকল্প শিক্ষা নির্ঘণ্টে। গত কাল এ কথা জানিয়েছিল সিবিএসই-ও।

Advertisement

এ দিকে, এ দিন রটে গিয়েছিল, সিবিএসই-র দ্বাদশ এবং দশম শ্রেণির ফল প্রকাশ হতে চলেছে যথাক্রমে ১১ ও ১৩ জুলাই। কিন্তু পরে বোর্ডের তরফ থেকে জানানো হয় যে, ওই খবর সঠিক নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন