Narendra Modi

এক দেশ, এক কৃষি বাজার তৈরি করতে উদ্যোগ মোদী সরকারের, সায় কৃষিপণ্য মজুতেও

চাষিদের এখন থেকে আর শুধুই রাজ্যের কৃষিপণ্য বাজার কমিটি নিয়ন্ত্রিত মান্ডিতে গিয়ে ফসল বেচতে হবে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২০ ০৬:০৫
Share:

ছবি: পিটিআই।

কৃষিপণ্যের ব্যবসা করা বড় মাপের বেসরকারি সংস্থাগুলি যাতে সরাসরি চাষিদের থেকে ফসল কিনে নিতে পারে, দ্রুত তার রাস্তা খুলে দিতে অধ্যাদেশ জারি করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার।

Advertisement

চাষিদের এখন থেকে আর শুধুই রাজ্যের কৃষিপণ্য বাজার কমিটি নিয়ন্ত্রিত মান্ডিতে গিয়ে ফসল বেচতে হবে না। সুপার মার্কেট বা শপিং মলে আনাজ বেচা সংস্থা, কৃষিপণ্যের লেনদেনকারী বা রফতানিকারী সংস্থা বা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সংস্থাগুলি এ বার সরাসরি চাষিদের থেকে ফসল কিনতে পারবে। এই সংস্থাগুলি চুক্তির ভিত্তিতে চাষ করিয়ে নিয়ে সরাসরি চাষিদের খেত থেকে ফসল ঘরে তুলতে পারবে। এর ফলে চাষিরা ফসলের আরও ভাল দাম পাবেন বলে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমরের দাবি।

আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আইন সংশোধন ও এক জোড়া অধ্যাদেশ জারির সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার পরে প্রধানমন্ত্রী জানান, দীর্ঘদিন বকেয়া এই সংস্কারে কৃষিক্ষেত্রের ভোল বদলে যাবে। এক দেশ, এক কৃষি বাজার তৈরি হবে। এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে বা রাজ্যের মধ্যে কোনও বাধা ছাড়াই, কৃষিপণ্যের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্ভব হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: গুরুতর কোভিড আক্রান্তদের উপর রেমডেসিভির প্রয়োগে সায় ভারতের

আরও পড়ুন: ইন্ডিয়া না ভারত, দেশের নামবদলে হস্তক্ষেপ করতে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট

মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত • অত্যাবশ্যক পণ্য আইন সংশোধন • কৃষিপণ্য লেনদেন এবং বাণিজ্য উন্নয়নে অধ্যাদেশ • কৃষিপণ্যের দাম নিশ্চিত করতে ব্যবসায়িক সংস্থার সঙ্গে চুক্তিতে কৃষকদের স্বার্থরক্ষায় অধ্যাদেশ

করোনা-সঙ্কট ও লকডাউনের ধাক্কা কাটিয়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আর্থিক প্যাকেজের অঙ্গ হিসেবেই মোদী সরকার কৃষি ক্ষেত্রে সংস্কারের ঘোষণা করেছিল। তা রূপায়ণ করতে আজ কালোবাজারি ও বেআইনি মজুত রুখতে তৈরি অত্যাবশ্যক পণ্য আইনে সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, গম, ভোজ্য তেল, তৈলবীজ যত ইচ্ছে মজুত করা যাবে। একমাত্র যদি না মহামারি বা জাতীয় দুর্যোগ আসে। সেই সঙ্গে ‘কৃষিপণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন’ অধ্যাদেশ ও ‘কৃষিপণ্যের দাম নিশ্চিত করতে কৃষকদের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন চুক্তি’-র জন্যও অধ্যাদেশ জারির সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সরকার ফসলের ভাল দাম নিশ্চিত করতে চাইছে, কিন্তু আজ মুসুর ডালে আমদানি শুল্ক ৩০% থেকে কমিয়ে ১০% কেন করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কৃষক সংগঠনগুলি। কৃষিসচিব সঞ্জয় আগরওয়ালের যুক্তি, মুসুর ডালের মজুত বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত। তবে চাষিরা এমএসপি-র থেকে বেশি দাম পাচ্ছেন। গম ও ডালের জন্য আর এমএসপি রাখা হবে কি না, তা নিয়েও আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে এক মন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন বলে সূত্রের দাবি।

কৃষিমন্ত্রী জানান, কৃষি মান্ডি নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্যের এপিএমসি আইন যেমন ছিল, তেমন থাকবে। তার বাইরে কৃষিপণ্যের ব্যবসার জন্য প্রথম অধ্যাদেশ আনা হচ্ছে। দ্বিতীয় অধ্যাদেশের উদ্দেশ্য, বেসরকারি সংস্থাকে ফসল বেচতে গিয়ে চাষিরা যাতে ঠকে না-যান। তার জন্য ফসল কেনার সঙ্গে সঙ্গে রসিদ দেওয়া ও তিন দিনের মধ্যে দাম মেটানোর নিয়ম করা হয়েছে। দু’পক্ষের বিবাদ হলে আদালতের বাইরে তা মেটাতে মহকুমাশাসক ও পরের ধাপে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানানো যাবে। তাঁর দাবি, এ বিষয়ে রাজ্যের সচিবদের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন