Abhijit Banerjee

ছাত্র রাজনীতি করতে গিয়ে দশ দিন তিহাড় জেলে কাটিয়েছিলেন অভিজিৎ

অভিজিৎ বিনায়ক সেই ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে লেখেন, ‘আমাদের রীতিমতো পেটানো হয়েছিল। তারপরে তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছিল আমাদের নামে। এমনকি, খুনের চেষ্টার ধারাতেও মামলা দেওয়া হয়। ঈশ্বরের কৃপায় পরে সেই ধারা তুলে নেয় পুলিশ। কিন্তু দশটা দিন তিহার জেলেই রাত্রিবাস করতে হয়েছিল সে বার।’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৯ ১৫:১৭
Share:

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ভাল রাঁধতে পারেন। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তাঁর যাতায়াত অবাধ। পুরস্কার প্রাপক হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা হতেই এমন নানা খবর সামনে আসছিল। এবার উঠে এল আরও চমকপ্রদ তথ্য। ছাত্রজীবনে দশ দিন তিহাড় জেলে কাটাতে হয়েছিল তাঁকে। এই তথ্য খোদ অভিজিৎই ২০১৬ সালে জানিয়েছিলেন এক জাতীয় সংবাদমাধ্যমকে।

Advertisement

সময়টা ১৯৮৩ সাল। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিজিতের শেষ বছর সেটা। সে বছরই ছাত্র সংসদের প্রেসিডেন্টকে বরখাস্ত করার ঘটনার প্রতিবাদে উপাচার্যকে অনির্দিষ্টকালের জন্যে ঘেরাও করেন অভিজিতরা। সেই কারণেই তাঁদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় তিহাড় জেলে। ১৯৮৩ সালের ঘটনাটির সঙ্গে মিল পাওয়া যাবে ২০১৬ সালের উত্তাল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ছবিটার।

অভিজিৎ বিনায়ক সেই ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে লেখেন, ‘আমাদের রীতিমতো পেটানো হয়েছিল। তারপরে তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছিল আমাদের নামে। এমনকি, খুনের চেষ্টার ধারাতেও মামলা দেওয়া হয়। ঈশ্বরের কৃপায় পরে সেই ধারা তুলে নেয় পুলিশ। কিন্তু দশটা দিন তিহার জেলেই রাত্রিবাস করতে হয়েছিল সে বার।’

Advertisement

আরও পড়ুন:গরিবের ক্রয়ক্ষমতা না বাড়লে নিস্তার নেই ভারতীয় অর্থনীতির, বলছেন নোবেলজয়ী
আরও পড়ুন:পিএমসি-তে সঞ্চয় ৯০ লক্ষ, চিন্তায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন প্রাক্তন জেট এয়ারওয়েজ কর্মী

২০১৬ সালের জেএনইউ-তে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল তাই নিয়েই ছিল অভিজিতের ওই কলম। নিজের লেখায় অতীত তুলে এনে এই ধরনের ঘটনাকে ‘রাষ্ট্রের গা-জোয়ারি’ বলেও উল্লেখ করেন অভিজিৎ বিনায়ক। তাঁর মতে, ১৯৮৩ বা ২০১৬, দু’বারই বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোসুরক্ষিত পরিসর আর নিরাপদ থাকেনি রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের ফলে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন