রুক্মিণী মৈত্র সবচেয়ে বিরক্ত হয় কীসে জানেন? যখন শুটে মাত্র পাঁচটা বা ছ’টা শট দিয়ে দেব বলেন, ‘ওকে ডান’ এবং রুক্মিণীর পঞ্চাশটা শটেও ক্লান্তি নেই, তখন। নামী মডেল ও অভিনেত্রী ভালবাসেন ক্যামেরাকে। দেবের কথায়, ‘‘ভাল ছবিটা বেরিয়ে গেলে আবার এত শট দেওয়ার দরকার কী?’’
পত্রিকার শুটেও খুনসুটি-হাসিতে মজে ছিলেন তাঁরা। ফ্লোরাল প্রিন্টের সাদা শিফনে রুক্মিণী স্নিগ্ধ। দেবের চোখেও প্রচ্ছন্ন প্রশংসা। রুক্মিণীকে কোন পোশাকে সবচেয়ে ভাল লাগে? ‘‘যে কোনও পোশাকে,’’ স্বতঃস্ফূর্ত জবাব দেবের।
তাঁদের সম্পর্কে অভিমানের অংশ অবশ্য বরাদ্দ রুক্মিণীর অংশেই। তিনি বড় অভিমানী। তা ভাঙাতে দেব কী করেন?
‘‘রাগ করলে কিছু ক্ষণ পরে ঠিক হয়ে যাবে!’’ দেবের চোখে দুষ্টু হাসির ঝিলিক। তবে রুক্মিণীর কাছে দেব ‘ফ্যামিলি’। আর দেবের কাছে ভালবাসার মানে ‘বিশ্বাস’। ‘‘আমরা যদি আলাদা সেটলও করি এবং ৪০-৫০ বছর পর পরস্পরকে ফোন করলে ফ্যামিলি হিসেবেই করব, বন্ধু হিসেবে নয়,’’ বলেন রুক্মিণী।
এটাই তাঁদের সম্পর্কের চাবিকাঠি, সযত্ন আগলে রেখেছেন মনকোঠায়।
ছবি: আশিস সাহা, মেকআপ: ভাস্কর বিশ্বাস, হেয়ার: স্বরূপ দাস, স্টাইলিং: চিকি গোয়েঙ্কা
পোশাক ও অ্যাকসেসরিজ়: সাস্যা, জুতো (দেব): ডিউন লন্ডন
লোকেশন ও হসপিটালিটি: সুইসোতেল, রাজারহাট; ফুড পার্টনার: অউধ ১৫৯০, সল্টলেক