আকাশের মুখ ভার। খামখেয়ালি বৃষ্টি মনের মেজাজ বিগড়ে দিতে পারে। তাই পোশাকে চাই রং। এমন রং যা নিমেষে মনকে ফুরফুরে করে দেবে। আর চাই ফুল। ফ্লোরাল নয়, তবে ড্রেসে ফুলের একটা মোটিফ আউটফিটের লুকটাই বদলে দিতে পারে। মিনিমালিস্ট সাজের ক্ষেত্রেও এই ‘ফুল’ স্টেটমেন্টের মতো।
অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের স্টাইল স্টেটমেন্টে জুটি বেঁধেছে পছন্দের রং আর ভালবাসার ফুল।
বর্ষায় সাদা পোশাক পরতে হাজারো নিষেধ। তবু মন সুযোগ খোঁজে সাদা পরার। যেমন হোয়াইট শিয়ার শার্ট পরেছেন কৌশানী। সঙ্গে ভায়োলেট রঙের নিওপ্রিন স্কার্ট। সঙ্গে স্টেটমেন্ট রিং, মাননাসই ইয়ারিংস। নায়িকার হোয়াইট আর গোল্ডেন নেলআর্ট সাজে পরিপূর্ণতা দিয়েছে।
বেবি পিঙ্ককে ‘সামার কালার’ বলে একঘরে করে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এটা এমন একটা রং, যা যে কোনও মরসুমে, যে কোনও অনুষ্ঠানে পরা যায়। এই রঙের নরম পরশ মন আর মেজাজ দুটোই চাঙ্গা করে দেয়। তবে বর্ষার গুমোট ভাব কাটাতে নিওপ্রিন ড্রেসে দুটো লাল রঙের ফুল ব্যবহার করা হয়েছে। রয়েছে পাতার মোটিফও। যেহেতু ড্রেসগুলোয় ভারী কাজ নেই, তাই স্টেটমেন্ট রিং প্রতিটি পোশাকেই ‘মাস্ট’।
মেয়েদের লাল রং পরতে উপলক্ষের প্রয়োজন হয় না। জর্জেটের রুবি রেড রঙের ওয়ান শোল্ডার স্লিট গাউনে কৌশানীর গ্ল্যামার ফুটে উঠেছে। এই ড্রেসেও নজরকাড়া কাঁধের কাছে হট পিঙ্ক ও রেড জোড়া ফুল। সঙ্গে স্টেটমেন্ট রিস্টলেট ও ইয়ারিংস।
ঋতু বদলাবে। বদলাবে প্রকৃতির মেজাজও। তবে পোশাকের রং যেন হয় ভাললাগার, মন খারাপের নয়।
মধুমন্তী পৈত চৌধুরী
পোশাক: স্বাতী সিংহ, বমবাইম (রেড গাউন), ঋদ্ধি ও রেভিকা, সিট্রিন দ্য মাল্টিডিজ়াইনার স্টোর (পিঙ্ক ড্রেস), কোরাল কনসেপ্ট স্টোর (শার্ট ও স্কার্ট);
জুয়েলারি: গৌরী হিমাতসিংকা; মেকআপ ও হেয়ার: প্রসেনজিৎ বিশ্বাস;
স্টাইলিস্ট: নেহা গাঁধী; ছবি: আশিস সাহা; লোকেশন: হওয়ার্ড জনসন, চিনার পার্ক