কবিতার মাত্রা

ভেবেছিলেম দুজন মিলে/ একটি পাখায় শঙ্খচিলের/ লিখব কথা শ্রমে ও সন্ত্রাসে।/ কিন্তু তুমি ঘুমিয়ে ছিলে/ অবহেলায় ভরিয়ে দিলে/ লেখা কি আর এমনি আসে। রজতশুভ্র মজুমদার কবি-লেখক।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৬ ০৭:৩৬
Share:

ভেবেছিলেম দুজন মিলে/ একটি পাখায় শঙ্খচিলের/ লিখব কথা শ্রমে ও সন্ত্রাসে।/ কিন্তু তুমি ঘুমিয়ে ছিলে/ অবহেলায় ভরিয়ে দিলে/ লেখা কি আর এমনি আসে। রজতশুভ্র মজুমদার কবি-লেখক। তাঁর ১০০ প্রেমের কবিতার বই প্রকাশ অনুষ্ঠান উপলক্ষে জ্ঞানমঞ্চে উপস্থিত ছিলেন দেবশঙ্কর হালদার, রাজা দাস, ঈশিতা দাস অধিকারী প্রমুখ। শুরুতেই গাইলেন অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়। রজতশুভ্রর নতুন বইটি থেকেই কবিতা পড়লেন তিন বাচিক শিল্পী। দেবশঙ্কর হালদারের কবিতাপাঠ কী যে সাবলীল আর সহজ। আবেগের বহিঃপ্রকাশ নেই। কবিতায় ডুব দিয়ে এক অন্য পরিমণ্ডল সৃষ্টি করেন। রাজা দাস ভাল। তবে আবেগ একটু নিয়ন্ত্রণে আনলে আরও শ্রুতিমধুর হত। ঈশিতা কেন জানি সেদিন একটু নিষ্প্রাণ ছিলেন। প্রেমের কবিতার কোনও সূক্ষ্ম অলংকরণ পেলাম না তাঁর নিবেদনে। তবে আলাদা করে নাম করতেই হয় যন্ত্রানুষঙ্গে রাজার সঙ্গে সায়ন্তন, আর অন্য দুজনের ক্ষেত্রে কৌশিকের সুন্দর সহযোগিতা মনে রাখার মতো। এর পর কবির কণ্ঠে কবিতা পাঠ। স্বকণ্ঠে তাঁর নিজের কবিতা পাঠ এক অন্য মাত্রা পায়। শুধু প্রেমের কবিতা নয়, রজতশুভ্র পড়লেন একেবারে অন্য রসের কবিতা। উল্লেখযোগ্য কাদম্বরীকে নিয়ে লেখা একটি মৃত্যুর কাহিনি।

Advertisement

শিখা বসু

Advertisement

তিন কবি নিয়ে

সম্প্রতি বিড়লা অ্যাকাডেমিতে অনুষ্ঠিত হল দ্বিজেন্দ্রলাল, রজনীকান্ত ও অতুলপ্রসাদের গান। শিল্পী ছিলেন নূপুরছন্দা ঘোষ। শিল্পীকে সহযোগিতা করেছেন তাঁর ছাত্রছাত্রীরা। পূজা পর্যায়ের তিনটি গান রজনীকান্ত দিয়ে শুরু করে তা শেষ হয় প্রেম, প্রকৃতি ও স্বদেশ পর্যায়ে গিয়ে। এরই মাঝে নূপুরছন্দা শোনালেন পাঁচটি নাটকের গান। সঞ্চালনায় ছিলেন জলি সরকার।

নারীর মান

বীরেন্দ্র মঞ্চে নৃত্যনীড়-এর অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল সমবেত সঙ্গীত। পরে উদ্বোধনী নৃত্য ‘বন্দেমাতরম’। নির্ধারিত সময়ের প্রায় চল্লিশ মিনিট পরে অনুষ্ঠান শুরু হয়। যা শ্রোতাদের কাছে বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। তবুও এ দিনের শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি ছিল নৃত্যনাট্য ‘নারীর মান-মর্যাদা, অস্তিত্ব ডট কম’। অধিকারবোধ নিয়ে নারীর মনের আত্মবিশ্বাস নতুন দিগন্তের সৃষ্টি করে। নৃত্যনাট্যে অংশ নিয়েছিলেন রীতা সিংহ, সঞ্চারী নন্দী, রিমিতা দে প্রমুখ। রবীন্দ্রসঙ্গীতের সঙ্গে নৃত্যে নজর কাড়লেন অঙ্কিতা সাহা, প্রিয়াঙ্কা রায়চৌধুরী। তবে মনে থাকবে গ্রামবাংলার চিরাচরিত ঐতিহ্য নিয়ে লোকনৃত্যটি। শিল্পীরা ছিলেন রিণিকা দাস, লতিকা সরকার প্রমুখ।

গানে একা

রবীন্দ্রসদনে শিখা চৌধুরী শোনালেন বেশ কয়েকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত। ‘প্রথম আদি’, ‘অগ্নিবীণা বাজাও তুমি’ গানগুলি বেশ ভাল লাগে শিল্পীর কণ্ঠে। টপ্পা অঙ্গের গান ‘স্বপন যদি ভাঙিলে’ সাবলীল ভাবে পরিবেশন করলেন শিল্পী। তবলায় শিল্পীকে সহযোগিতা করেছেন দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন