যে খেলার যা নিয়ম... ক্রিকেট মাঠে যাওয়ারজন্য প্রস্তুত নকশি-গামছার শর্ট ড্রেস। সঙ্গে রোদ-চশমা
সূর্যদেব... বৈশাখের আগেই তুমি এত প্রখর?
উত্তরে সূর্যদেব বলছেন, পার্টি তো আভি শুরু হুয়ি হ্যায়!
গরম নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে হোয়াটস্্অ্যাপ জোক ইতিমধ্যেই। কুছ পরোয়া নেহি।
টো-এর উপর চাপ দিয়ে গোড়ালি তুলে দু’-হাত দু’দিকে মেলে জাস্ট একটা রাউন্ড। আমব্রেলা কাটের শর্ট ড্রেস, হাওয়ায় উড়ল আলতো। ফুলের গায়ে মূর্ছা যাওয়ার মতোই শেষ বসন্ত ছুঁয়ে গেল শরীরে। এই আইপিএল-এ যেন গরমকে ছক্কা।
পোশাক যেন ফুরফুরে উচ্ছ্বাস। যে উচ্ছ্বাসের উৎস কি আসলে ডিজাইনার বিবি রাসেল? না হলে নকশি-গামছার অনুপ্রেরণা এ ভাবে মডেল রোজার শরীরে ছড়িয়ে যাবে কেন! শর্ট স্লিভ, বো কলার, লাল-নীল-সবুজের ইতিউতি ছড়ানো শর্ট ড্রেসে সামার-শপিং এর জন্য প্রস্তুত রোজা। ঠিক যেন পাশের বাড়ির মেয়ে।
শর্ট ড্রেস থেকে বেরিয়ে যাওয়া যাক একটু লং-এ। বসন্ত পেরিয়ে পৌঁছে যাই বৈশাখে। বচ্ছরকার দিন। একটু লং ড্রেসে না হয় আলো হোক বাঙালির হালখাতার উৎসব।
গ্রীষ্ম-উৎসবের সূচনা, সুতির বাঁধনি ও সিল্কের মিলমিশে লং ড্রেস
মলমলের ঝিকিমিকিতে ফুলের উৎসব। পোশাক যেন বাগিচা। বেল, জুঁই, চাঁপার মিলমিশ। খোলা কাঁধের ইঙ্গিতই যথেষ্ট। আলুথালু বিনুনিতে রোজা বললেন, ‘‘লং ড্রেস পরলেই মনে হয় সোনম কপূর। যেন কান ফেস্টিভ্যালের রেড কার্পেট। নিজেকে কেমন ফ্যশন ডিভা, ফ্যাশন ডিভা লাগে,’’ হাসলেন তিনি।
তবে হ্যাঁ, খেলা দেখতে মাঠে গেলে, তখন কিন্তু সানগ্লাসের সঙ্গে শর্ট ড্রেস চাই-ই। যে ‘খেলার’ যা নিয়ম!
পোশাকে যখন বাগান... মলমলের ফ্লোরাল প্রিন্টে লং ড্রেস। সঙ্গে ‘না-সাজ’ প্রসাধনী
তবে ফুলের সঙ্গে প্রজাপতি যেমন মাস্ট, তেমনই পোশাকের সঙ্গে অ্যাকসেসরি। মেটালিক গোল্ডেন বাটারফ্লাই চোকার লং ড্রেসকে করে তোলে আরও রঙিন, ঝলমলে। এমন ফুলের পোশাকি উৎসবের সঙ্গে হালকা মেক আপ, রঙিন ঠোঁট। রোদ বাঁচাতে রঙিন চশমা। আর চশমা খুললেই?
সেই অমোঘ দ়ৃষ্টি।
সেটা ‘চৈত্রের সর্বনাশ’? না কি কালবৈশাখী আগত, কে জানে!
মডেল: রোজা
মেকআপ: জিতেন্দ্র মাহাতো
পোশাক ও: স্টাইলিং:
রাজ বন্দ্যোপাধ্যায়
ছবি: সোমনাথ রায়